আঙ্গুর নাহার মন্টি
ঢাকা রিপোর্টিং সেন্টার
সহযোগিতায় - ইউএসএআইডি ও ভয়েস অফ আমেরিকা
গত সপ্তাহে আমরা শিরায় মাদক সেবনের মাধ্যমে এইচআইভি সংক্রমণ বিষয়ে জেনেছিলাম। এবার থাকছে তাদের দুর্দশা ও অধিকারের কথা।
বাংলাদেশে এইচআইভি-এইডস সংক্রমণের হার ১ শতাংশের নিচে৷ এই তথ্যের পাশাপাশি বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে, সুঁই বা সিরিঞ্জের মাধ্যমে শিরায় মাদকসেবনকারীরা এইচআইভি সংক্রমণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ আচরণকারীদের মধ্যে রয়েছেন। সিরিঞ্জের মাধ্যমে মাদকসেবন এমনতিই একটি বড় সমস্যা। আর এর মাধ্যমে এইচআইভ সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে সমস্যাটি আরো জটিল হয়ে উঠেছে। চলুন জানা যাক, কিভাবে একজন শিরায় মাদকগ্রহণের মতো নেশায় জড়িয়ে পড়েন এবং এইচআইভি সংক্রমিত হন।
একজন এইচআইভি সংক্রমিত মাদকসেবী জানালেন, “রাস্তার কিনারে বসে সুইঁ নেয়া (শিরায় মাদকসেবন) দেখে জানতে পারি এতে হেরোইনের নেশা কমে। তখন থেকে হেরোইনের বদলে সুঁইয়ের নেশা করতে থাকি। এখানে এসে রক্ত পরীক্ষা করে জানলাম আমি পজিটিভ।”
বাংলাদেশ সরকারের সহযোগীতায় ও ইউএসএআইডির অর্থায়নে মধুমিতা প্রকল্প বাংলাদেশের ১৮টি জেলায় পরিচালিত হচ্ছে। এইচআইভি-এইডস প্রতিরোধে এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সেবাদান ও তাঁদের বিরুদ্ধে বৈষম্য দূরীকরণ এর লক্ষ্য। এ প্রকল্পের আওতায় মোট ৩৩টি মধুমিতা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ৫টিতেই এইচআইভি প্রতিরোধের অংশ হিসেবে শিরায় মাদনসেবনকারীদের সেবা দেয়া হয়।
এসব সেবাকেন্দ্রে এসে শিরায় মাদকসেবনের মাধ্যমে এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তিরা জেনেছেন কিভাবে অন্যদের এইচআইভি সংক্রমণের হাত থেকে নিরাপদে রাখা যায়।তারা সব সময় সতর্ক থাকেন যাতে নিজেদের দ্বারা অন্য কেউ সংক্রমিত না হয়। বিয়েও করছেন নিজের মতো আরেকজন এইচআইভি সংক্রমিতকে। দেখছেন সুস্থ জীবনের স্বপ্ন। বেসরকারী সংস্থা মুক্ত আকাশ বাংলাদেশের বকশীবাজারের মধুমিতা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসব কথা জানালেন একজন এইচআইভি সংক্রমিত শিরায় মাদকসেবনকারী…
“জানার পর থেকে আমি সতর্ক হয়ে যাই যাতে আমার মতো অন্য কেউ সংক্রমিত না হয়। অন্যের সঙ্গে এক সুঁই ব্যবহার করি না। যৌনমিলন করতে গেলে কনডম ব্যবহার করি। কাউকে রক্ত দেই না। আমি একা মানুষ। জীবনে একজন সাথী দরকার। এখানেই আমারই মতো আরেকজনকে পেলাম।”
আর দশটি সাধারণ মানুষের মতো সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার থাকলেও এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তিরা সমাজে নানা বৈষম্যের শিকার হন। এদের অনেকেই বেকার ও উদ্বাস্তু হয়ে রাস্তায় ভাসমান জীবন যাপন করছেন। তাঁরা কর্মসংস্থান আর বাসস্থানের নিশ্চয়তা চান, এমন বৈষম্যের অবসান চান।
“আমরা এইচআইভি জনগোষ্ঠী হয়েই গেছি। জানতে পেরে আমাদের কর্মস্থান থেকেও বের করে দেয়। তাই বেকার হয়ে পড়ি। আমাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হলে ভাল হতো। তাহলে কোন টেনশন থাকতো না।”
আঙ্গুর নাহার মন্টি
ঢাকা রিপোর্টিং সেন্টার
সহযোগীতায় - ইউএসএআইডি ও ভয়েস অফ আমেরিকা
ঢাকা রিপোর্টিং সেন্টার
সহযোগিতায় - ইউএসএআইডি ও ভয়েস অফ আমেরিকা
গত সপ্তাহে আমরা শিরায় মাদক সেবনের মাধ্যমে এইচআইভি সংক্রমণ বিষয়ে জেনেছিলাম। এবার থাকছে তাদের দুর্দশা ও অধিকারের কথা।
বাংলাদেশে এইচআইভি-এইডস সংক্রমণের হার ১ শতাংশের নিচে৷ এই তথ্যের পাশাপাশি বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে, সুঁই বা সিরিঞ্জের মাধ্যমে শিরায় মাদকসেবনকারীরা এইচআইভি সংক্রমণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ আচরণকারীদের মধ্যে রয়েছেন। সিরিঞ্জের মাধ্যমে মাদকসেবন এমনতিই একটি বড় সমস্যা। আর এর মাধ্যমে এইচআইভ সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে সমস্যাটি আরো জটিল হয়ে উঠেছে। চলুন জানা যাক, কিভাবে একজন শিরায় মাদকগ্রহণের মতো নেশায় জড়িয়ে পড়েন এবং এইচআইভি সংক্রমিত হন।
একজন এইচআইভি সংক্রমিত মাদকসেবী জানালেন, “রাস্তার কিনারে বসে সুইঁ নেয়া (শিরায় মাদকসেবন) দেখে জানতে পারি এতে হেরোইনের নেশা কমে। তখন থেকে হেরোইনের বদলে সুঁইয়ের নেশা করতে থাকি। এখানে এসে রক্ত পরীক্ষা করে জানলাম আমি পজিটিভ।”
বাংলাদেশ সরকারের সহযোগীতায় ও ইউএসএআইডির অর্থায়নে মধুমিতা প্রকল্প বাংলাদেশের ১৮টি জেলায় পরিচালিত হচ্ছে। এইচআইভি-এইডস প্রতিরোধে এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সেবাদান ও তাঁদের বিরুদ্ধে বৈষম্য দূরীকরণ এর লক্ষ্য। এ প্রকল্পের আওতায় মোট ৩৩টি মধুমিতা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ৫টিতেই এইচআইভি প্রতিরোধের অংশ হিসেবে শিরায় মাদনসেবনকারীদের সেবা দেয়া হয়।
এসব সেবাকেন্দ্রে এসে শিরায় মাদকসেবনের মাধ্যমে এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তিরা জেনেছেন কিভাবে অন্যদের এইচআইভি সংক্রমণের হাত থেকে নিরাপদে রাখা যায়।তারা সব সময় সতর্ক থাকেন যাতে নিজেদের দ্বারা অন্য কেউ সংক্রমিত না হয়। বিয়েও করছেন নিজের মতো আরেকজন এইচআইভি সংক্রমিতকে। দেখছেন সুস্থ জীবনের স্বপ্ন। বেসরকারী সংস্থা মুক্ত আকাশ বাংলাদেশের বকশীবাজারের মধুমিতা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসব কথা জানালেন একজন এইচআইভি সংক্রমিত শিরায় মাদকসেবনকারী…
“জানার পর থেকে আমি সতর্ক হয়ে যাই যাতে আমার মতো অন্য কেউ সংক্রমিত না হয়। অন্যের সঙ্গে এক সুঁই ব্যবহার করি না। যৌনমিলন করতে গেলে কনডম ব্যবহার করি। কাউকে রক্ত দেই না। আমি একা মানুষ। জীবনে একজন সাথী দরকার। এখানেই আমারই মতো আরেকজনকে পেলাম।”
আর দশটি সাধারণ মানুষের মতো সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার থাকলেও এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তিরা সমাজে নানা বৈষম্যের শিকার হন। এদের অনেকেই বেকার ও উদ্বাস্তু হয়ে রাস্তায় ভাসমান জীবন যাপন করছেন। তাঁরা কর্মসংস্থান আর বাসস্থানের নিশ্চয়তা চান, এমন বৈষম্যের অবসান চান।
“আমরা এইচআইভি জনগোষ্ঠী হয়েই গেছি। জানতে পেরে আমাদের কর্মস্থান থেকেও বের করে দেয়। তাই বেকার হয়ে পড়ি। আমাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হলে ভাল হতো। তাহলে কোন টেনশন থাকতো না।”
আঙ্গুর নাহার মন্টি
ঢাকা রিপোর্টিং সেন্টার
সহযোগীতায় - ইউএসএআইডি ও ভয়েস অফ আমেরিকা