দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে গেøাবাল অর্ডার - বিশ্ব বিন্যাসের যে উদ্ভব ঘটেছিল, মুক্ত বিশ্বের নেতার অবস্থানে যখন যুক্তরাষ্ট্রের অদভ‚দ্যয় ঘটেছিল সে সময় যুক্তরাষ্ট্র তার নেতৃত্বের অবস্থান নিশ্চিত করতে এবং নতুন বিশ্ব বিন্যাসকে আরো নিটোল অবস্থানে তুলে ধরতে মুক্তহস্তে এগিয়ে গিয়েছিল- বিশেষ করে পাশ্চাত্যের গণতন্ত্র অনুসারী দেশগুলোর মদতে। কালক্রমে, বিশেষ করে ২০১৬ সালের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন এবং সেই সঙ্গে কোনো কোনো মহল মনে করতে আরম্ভ করে, যুক্তরাষ্ট্রের বদান্যতার ফায়দা লুটছে তার জোট শরিক দলগুলো এবং এরই ফলে ট্রাম্প প্রশাসন কিছুদিন আগে শরীক দেশগুলোর উপর এবং আরো বিশেষ করে চীনের উপর শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দেন। অতিসম্প্রতি বৈঠকের সময় ট্রাম্প আরো পরিষ্কার ভাষায় শুল্ক বৃদ্ধির সমর্থনে বক্তব্যের অবতারণা করেন। শুধু তাই নয়, জি সেভেন জোটের আলোচনায় রাশিয়াকে ফিরিযে আনার প্রস্তাব করেন তিনি।
স্বভাবতই গেøাবাল অর্ডার- বিশ্ববিন্যাসের ধাক্কা অনুভূত হয়েছে। শরিক দেশগুলোর পক্ষে অসোন্তোষ ব্যক্ত হতে শোনা গিয়েছে। অধ্যাপক ফরিদুল আলম,পরিস্থিতি আপনার কাছে কেমন অনুভূত হচ্ছে ?
মোটামুটি একই সময়ে চীন দক্ষিণ কোরিয়া- রাশিয়ার তরফে যখন কিনা উত্তর কোরিয়াকে সমর্থনপুষ্ট হতে দেখা যাচ্ছে, ঠিক সেই সময়টাতেই ট্রাম্প প্রশাসনও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে একপাক্ষিক অবস্থান থেকে শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হতে চলছে। এতে তুলনামূলকভাবে লাভের অবস্থানে উত্তর কোরিয়াকেই ক দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছেন কোনো কোনো মহল। আপনার মূল্যায়ন কি ?
উপসংহাওে, জি সেভেন বৈঠকের সমাপনী ফলাফল এবং আসন্ন সিঙ্গাপুর সামিটের ফলাফল এ দু’য়ে মিলে ঐ বিশ্ব বিন্যাসের আমূল কোন রদবদল করতে পারে বলে কি আপনি মনে করেন ?