ফায়সাল সাইদ একজন মেকানিকল ইঞ্জিনিয়ার। তিনি মিশিগানের ডেট্রয়েটে আমেরিকার অন্যতম গাড়ি নির্মাণ কম্পানি, জেনেরাল মোটোর্সে, সিনিয়র প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার।
ভয়েস অফ আমেরিকার সঙ্গে এক সাক্ষ্যাত্কারে ফায়সাল সাইদ, গাড়ি নির্মাণ শিল্পে, পরিবেশ দূষণ মোকাবেলায়, বিভিন্ন প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং অন্যান্য বিষয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন যে ডিজেল ইঞ্জিন উত্তর আমেরিকায় নতুন, কিন্তু ইউরোপ ও এশিয়ায় ওই প্রযুক্তি অনেকদিনের। তাই যুক্তরাষ্ট্র অনেকটাই নির্ভর করে ইউরোপ ও এশিয়ার ডিজেল প্রযুক্তির উপর। ফায়সাল সাইদ বলেন জেনেরাল মোটোর্স, ইউরোপ থেকে প্রযুক্তি যুক্তরাষ্ট্রে হস্তান্তর করার ও হারমোনাইজ করার উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন এখানে ডিজেল ইঞ্জিন জনপ্রিয় করে তোলাটাও তাদের একটা উদ্দেশ্যে।
গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বৈশ্বিক উষ্নায়নের জন্য গাড়ি নির্মাণ শিল্পকে প্রায়ই দোষারোপ করা হয়।এ ক্ষেত্রে জেনেরাল মোটোর্স বা এই শিল্পে কি ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে সে বিষয়ে ফায়সাল সাইদ বলেন, তারা কার্বন এমিশন হ্রাস করার উদ্দেশ্যে ফসিল ফিউলের উপর নির্ভরতা কমাচ্ছে এবং এলিক্ট্রিকাল গাড়ি তৈরি করছে। তিনি বলেন জেনেরাল মোটোর্স এবছরই প্রথম এলিক্ট্রিকাল গাড়ি বিক্রি শুরু করবে।
ফায়সাল সাইদ বলেন বিশ্বে প্রযুক্তি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে বাংলেদেশও একটা ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি বলেন বিশ্বায়নের এই যুগে বাংলাদেশে গাড়ি নির্মাণ বা গাড়ির যন্ত্রাংশ নির্মাণের সুযোগ ঘটতে পারে।
মিশিগানের একটি সমাজকল্যান মূলক প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশী আমেরিকান পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটি (BAPAC)এর সঙ্গেও তিনি সংশ্লিষ্ট। তিনি বলেন “রাজনৈতিক পন্থার বাইরেও আরও অনেক উপায় আছে যেখানে সমবেত হয়ে কমিউনিটি ওয়ার্ক করা যায়”। তিনি বলেন BAPAC, সামাজিক ও অন্যান্য উপায় প্রবাসী বাঙালিদের জীবন উন্নয়নের চেষ্টা করছে।