ইরান এবং বিশ্বের পাঁচটি শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনায় নেতৃত্বদানকারী একজন ইউরোপীয় কর্মকর্তা মঙ্গলবার বলেন যে এই আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি বহাল রাখতে চায় । ঐ চুক্তিতে ইরানের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা মওকুফ করার বিনিময়ে ইরানের পরমাণু কর্মসূচীর উপর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। ভিয়েনায় এই বৈঠকের পর হেলগা শিমিদ এক টুইট বার্তায় লেখেন অংশগ্রহণকারীরা ইরান চুক্তি বহাল রাখার ব্যাপারে তাদের প্রতিজ্ঞা
য় একতাবদ্ধ এবং বর্তমান চ্যালেঞ্জ সত্বেও তারা এই চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার উপায় সন্ধান করছেন। তিনি আরও লেখেন যে এই চুক্তি টিকিয়ে রাখার গুরুত্ব সকল অংশগ্রহণকারি নিশ্চিত করেছেন যে যেমনটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ প্রস্তাবে অনুসমর্থিত হয়েছে যে এই চুক্তি হচ্ছে বিশ্বে পরমাণু বিস্তার রোধের স্থাপত্যের মতো।
গত বছর ইরান এই অভিযোগ করে যে যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় সে দেশ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অর্থনৈতিক সুবিধে পাচ্ছেনা। এই পরিপ্রেক্ষিতে ইরান তার প্রতিশ্রুতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলে এই চুক্তি করা হয়। ২০১৮ সালে ট্রাম্প তিন বছর আগে ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার পর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের যুক্তি ছিল যে ঐ চুক্তি ইরানকে নিষেধাজ্ঞা থেকে অনেক বেশি ছাড় দিয়েছে অথচ এর ফলে ইরানকে পরমাণু অস্ত্র নির্মাণ থেকে নিবৃত্ত রাখা যায়নি।