ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স দুর্ঘটনায় নিহতদের জন্য জাগরণ সরকারবিরোধী বিক্ষোভে মোড় নেয়। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি অত্যন্ত দুঃখজনক এই ঘটনা সম্পর্কে এক বিবৃতিতে বলেন মানবীয় ত্রুটির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার দ্বায় স্বীকার করতে ইরান সরকার তিনদিন সময় পার করে।
আইআরজিসি এরোস্পেস কমান্ডার আমির আলী হাজিজাদেহ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেছেন, "আমি এই ভুলের পুরো দায়িত্ব নিচ্ছি এবং যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক তা আমি মান্য করবো" তিনি বলেন যে তিনি যখন বিমানটি ভূপাতিত হওয়ার খবর পান তখন তিনি নিজের মৃত্যু কামনা করেন।
দুর্ঘটনায নিহতদের জাগরণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন প্রতিবাদকারীরা। কেউ কেউ বলেছিলেন যে আমাদের নেতা অজ্ঞ এবং লজ্জার কারণ। অন্যান্যরা আইআরজিসি বাহিনীকে অযোগ্য এবং আমাদের জাতির জন্য লজ্জার উত্স বলেন। পুলিশ জনতার ওপর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ফারসি ও ইংরেজি উভয় ভাষায় এক টুইট বার্তায় বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থন জানান।ইউক্রেনের বিমান ভূপাতিতের খবরে বিক্ষোভ চতুরদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক বিবৃতিতে বলেন, ইরান ইউক্রেনের বিমান বিধ্বস্ত করার জন্য তাদের দোষ স্বীকার করেছে তবে আমরা চাই তারা তাদের পুরো দোষ স্বীকার করুক। আমরা বিচার চাই, ইরানের পক্ষ থেকে পূর্ণ তদন্তের আশ্বাস চাই। তাদের নিহতদের মরদেহ দিতে হবে এবং ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে। ইরান কে তাদের এই ভুলের জন্য যথাযথ কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমা চাইতে হবে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও এর জবাব চেয়েছেন। এই ঘটনায় বিশ্বব্যাপী ক্ষুব্ধ মানুষদের প্রতি আমার বার্তা, তাদের জবাবদিহি ও বিচার দাবি করতে হবে। এটি এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যা কখনোই হওয়া ইচিত ছিলোনা।ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোর পাশে দাঁড়াতে হবে কেননা তারা একটি ভয়াবহ শোকের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যদলের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামালার জন্য ইরানের ওপর বাড়তি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ।ইরান যদি যুক্তরাষ্ট্রের মতে, তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখে তাহলে আরও পদক্ষেপের মাধ্যমে অর্থনীতিকে দুর্বল করে দেয়ার হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।