অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জাপানে করোনার নতুন রেকর্ড


জাপান বুধবার সাড়ে নয় হাজারের বেশি লোকের করোনভাইরাস সংক্রমণের কথা জানিয়েছে, যা সে দেশের আগেকার সব রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে। টোকিও অলিম্পিক দেশটির মহামারী পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটাচ্ছে কিনা, তা নিয়ে নতুন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

রাজধানী টোকিওতে এক দিনে তিন হাজারের বেশি সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। গত দুই দিন ধরে সেখানে রেকর্ড সংখ্যায় সংক্রমণ ঘটেছে। জাপানের টেলিভিশন চ্যানেল এন এইচ কে এই সংখ্যা প্রকাশ করেছে।

টোকিওতে ইতিমধ্যে জরুরি অবস্থা জারী থাকলেও সেটা কার্যকর নয় বলে সমালোচনা করেছে স্থানীয় কিছু ভাষ্যকার। বিধিনিষেধের অনেকগুলোই ঐচ্ছিক। রেস্তোঁরাগুলিকে তাড়াতাড়ি বন্ধ করতে এবং অ্যালকোহল বিক্রি না করতে বলা হলেও, সবাই তা মেনে চলছে না।

রাজধানীর বাইরেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। টোকিওর আশেপাশের তিনটি পৌর এলাকা - কানাগাবা, চিবা এবং সায়তমা এলাকায় ব্যাপকভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, কর্মকর্তারা এই অঞ্চলগুলিতে মহামারী প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও জোরদার করার বিষয়টি বিবেচনা করছেন।

কিয়োডো নিউজ এজেন্সি’র খবরে বলা হয়েছে, জাপান সরকারের শীর্ষ কভিড উপদেষ্টা শিগেরু ওমি সংসদীয় এক শুনানিতে বলেছেন, “ইতোমধ্যে চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও চাপের মুখে পড়তে শুরু করেছে”।

সামগ্রিকভাবে, জাপান মহামারী মোকাবেলায় তুলনামূলকভাবে সফল একটি দেশ। করোনভাইরাসে দেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা মাত্র ১৫ হাজার, যা অন্যান্য দেশগুলির সংখ্যার তুলনায় অনেক কম। যদিও বুধবার জাপানে রেকর্ড সংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে, তবে এ দিন মোট আটজনের মৃত্যু হয়।

এখন পর্যন্ত ১৬৯ জন অলিম্পিক গেমস সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি করোনা ভাইরাস পজেটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। অলিম্পিকের আয়োজকরা সামগ্রিকভাবে এই সংক্রমণ হারকে বেশ কম বলে মনে করছে। তারা বলেছে, অলিম্পিক সংশ্লিষ্ট বেশিরভাগ দর্শকই টিকা নিয়েছে।

জাপান অন্যতম এশীয় দেশ যারা প্রাথমিকভাবে মহামারী নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল তবে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে তারা অনেক উন্নত দেশের চেয়ে পিছিয়ে আছে।

সরকারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী জাপানে মোট জনসংখ্যার অন্তত ৩৭ শতাংশ মানুষ করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়েছে।

XS
SM
MD
LG