জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহারে নতুন ধারার রাজনীতির প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে কোন ব্যক্তি পর পর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনা হবে। নাগরিকদের জীবনের নিরাপত্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে। বাতিল করা হবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। পুলিশ ও সামরিক বাহিনী ছাড়া অন্যান্য সরকারী চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা থাকবে না। প্রতিহিংসা বা জিঘাংসা নয়, জাতীয় ঐক্য হবে প্রধান লক্ষ্য। যুদ্ধাপরাধের বিচার অব্যাহত থাকবে।
স্থানীয় একটি হোটেলে ড: কামাল হোসেনের উপস্থিতিতে এই ইশতেহার পাঠ করে শোনান মাহমুদুর রহমান মান্না। এতে বলা হয়, নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের বিধান চালু করা হবে। বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড ও গুম পুরোপুরি বন্ধ করা হবে। প্রথম বছরে বিদ্যুত ও গ্যাসের দাম বাড়বে না। সরকারি চাকরিতে শুধুমাত্র অনগ্রসর জনগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা ছাড়া আর কোন কোটা থাকবে না। গঠন করা হবে সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয়। দুর্নীতি রোধ করার কথাও বলা হয়েছে।
এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারকে জাতির সঙ্গে তামাশা বলে বর্ণণা করেছে। দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, দুর্নীতির দায়ে দলটির চেয়ারপারসন যেখানে দ-িত সেখানে দুর্নীতি রোধ করবে কিভাবে?
নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার পর ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতারা নির্বাচনী সহিংসতা নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাত করতে যান। আড়াই ঘণ্টা বৈঠক শেষে কামাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন বর্জন করার প্রশ্নই ওঠে না। এমনকি মরে গেলেও না। প্রয়োজনে তার লাশ নিয়ে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেন ফ্রন্ট নেতাদের।
ওদিকে, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড এখন অর্থহীন কথায় পরিণত হয়েছে।
মতিউর রহমান চৌধুরী, ঢাকা