বার্তা সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেস জানাচ্ছে আল আক্বসা মসজিদ প্রাঙ্গন এবং জেরুজালেমের অন্যত্র সারা রাত ধরে ফিলিস্তিনি অসামরিক লোকজন এবং ইসরাইলি পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে ২০০’র ও বেশি লোক আহত হয়েছে বলে চিকিৎসাকর্মীরা আজ শনিবার জানিয়েছেন। কয়েক সপ্তাহ ধরে চলে আসা অশান্ত অবস্থা শেষে শহরটি যেন আরও সংঘাতের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
পবিত্র রমজান মাসের শুরুতে জনসমাবেশের উপর পুলিশের বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে রাতের বেলায় এ্ই প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু হয় এবং সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বহু ফিলিস্তিনিকে তাদের বাড়ি থেকে উৎখাত করার হুমকির মুখে সম্প্রতি এই সংঘাত আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। কয়েক দশক ধরে পূর্ব জেরুজালেমকে উভয় পক্ষই দাবি করে আসছে। আল আকসায় ঠিক কি কারণে সহিংসতা দেখা দিয়েছে, সেটা পরিষ্কার নয় তবে হাজার হাজার মুসলমান নামাজি যখন মাগরেবের নামাজ পড়ছিলেন তখন সেখানে দাঙ্গানিরোধক পোশাক পরা ইসরাইলি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সারা রাত ধরে বিক্ষোভকারীদের বিশাল দল ইসরাইলি পুলিশের উপর পাথর ছুঁড়ে মারে এবং পুলিশও বিক্ষোভকারীদের উপর রাবার বুলেট এবং স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে পুলিশ সেখানকার একটি ভবনে প্রবেশ করে। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জরুরি পরিষেবা বিভাগ বলছে, আহতদের মধ্যে ৮৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলেছে রাবারের বুলেটে ৮৩ জন আহত হয়েছে, তাদের মধ্যে তিনজনকে চোখে গুলি করা হয়, দু জন মাথায় গুরুতর আঘাত পান এবং দু জনের দাঁতে আঘাত লাগে। ইসরাইলি পুলিশ বলছে, প্রতিবাদকারিরা তাদের ওপর পাথর আতশবাজি এবং অন্যান্য জিনিষ নিক্ষেপ করে এতে ১৭ জন পুলিশ আহত হয়, যার অর্ধেকই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। শুক্রবার রাতে এক বিবৃতিতে ইসরাইলি পুলিশ জানায়, “আমরা সব সহিংস গোলযোগ, দাঙ্গা এবং আমাদের বাহিনীর উপর হামলা কঠোর হাতে দমন করবো”। আল আক্বসা মসজিদ প্রাঙ্গন হচ্ছে ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান, ইহুদিদের জন্যও এটি পবিত্রতম স্থান।