রাজধানীর মহাখালী থেকে গ্রেপ্তারকৃত সন্দেহভাজন তিন জঙ্গির একজনকে নিয়ে গোয়েন্দারা নড়েচড়ে বসেছেন। বলা হচ্ছে গ্রেপ্তারকৃত আবদুস সামাদ নব্য জেএমবির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা কানাডীয় নাগরিক তামিম চৌধুরীর সেকেন্ড ইন কমান্ড। গুলশান হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী তামিম চৌধুরী ২০১৬ সনের ২৭শে আগস্ট নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় এক অভিযানে নিহত হন। তাকে ধরার জন্য ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। পুলিশের কাউন্টার টেররিজমের কাছে যেসব তথ্যাদি রয়েছে তা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, এই সামাদই নব্য জেএমবিকে সংগঠিত করছিল।
কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, দিনাজপুরের সামাদ ২০০২ সনে দাওয়া হাদিস এবং ২০১১ সনে ফাজিল পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। ২০১০ সনে জেএমবিতে যোগ দেন এমন তথ্য রয়েছে।
মনিরুল জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় ২০১৪ সনে তামিম চৌধুরীর সঙ্গে মিলে জুনদ আল তাওহীদ আল খিলাফাই নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন এই আবদুস সামাদ। তামিম ছিলেন এর প্রধান। এই দলের অর্থ সংগ্রহ, বোমা তৈরি, কৌশল ঠিক করার কাজেও সামাদ যুক্ত ছিল। ২০১৫ সনে হোসনি দালান বোমা হামলার পর প্রথম তার নাম চাউড় হয় বলে দাবি পুলিশের। হলি আর্টিজান হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন অভিযান ও বন্দুকযুদ্ধে ৮০ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে জানান কাউন্টার টেররিজম ইউনিট প্রধান।
ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট।