অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জর্দানের বাদশাহ এবং ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী দু’দেশকে আবার মৈত্রীর বন্ধনে বাঁধলেন


জর্দানের বাদশাহর সঙ্গে ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বৈঠক
ছবি:এএফপি
জর্দানের বাদশাহর সঙ্গে ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বৈঠক ছবি:এএফপি

বুধবার জর্দানের বাদশাহ দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ ইসরাইলের একজন কর্মকর্তাকে আম্মানে প্রকাশ্যে স্বাগত জানানোর বিষয়টিকে পর্যবেক্ষকরা ইতিহাস সৃষ্টিকারী শান্তির এই দুই অংশীদারের মধ্যে নতুন করে বন্ধন দৃঢ় করার অংশ হিসেবেই হিসেবেই দেখছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরাইলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতেনইয়াহুর সরকাররা জর্দানকে প্রান্তিক অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিলেন বলে মনে করা হয়। অতএব চার বছরেরও বেশি সময় পরে এটি ছিল প্রথম প্রকাশ্য বৈঠক ।এই ব্যতিক্রমী বৈঠকে জর্দানের বাদশাহ আব্দুল্লাহ এবং ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং নিজেদের মধ্যে বন্ধন দৃঢ় করা নিয়ে আলোচনা করেন যা কীনা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শিথিল হয়ে পড়েছিল।

১৯৯৪ সালে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবার সাথে সাথে জর্দান ইসরাইলের নিরাপত্তার বিষয়ে একটি মিত্র রাষ্ট্র হয়ে ওঠে কিন্তু ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনদের মধ্যকার তিক্ত সংঘাতের কারণে এ সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয় । গত জুন মাসে ইসরাইলে নতুন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর এই সম্পর্কের উন্নতি ঘটে।

আব্দুল্লাহ গ্যান্টজকে বলেন ফিলিস্তিনি এলাকাকে শান্ত রাখা অত্যন্ত জরুরি এবং তিনি “ দুই-রাষ্ট্র সমাধানের উপর ভিত্তি করে ন্যায় সঙ্গত এবং সামগ্রিক শান্তি অর্জনের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।

বৈঠকের পর টুইটারে গ্যান্টজ সম্পর্ক সম্প্রসারণের প্রশংসা করেন এবং নিরাপত্তা , অর্থনৈতিক ও অসামরিক বিনিময় আরো বৃদ্ধি করার বিষয়ে ইসরাইলের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

জর্দানের রাজনৈতিক পর্যালোচক আমের আল সাবাইলেহ বলছেন এই বৈঠক হচ্ছে নেতেনইয়াহু-উত্তর যুগে ইসরাইলের প্রতি জর্দানের নতুন দৃষ্টিভঙ্গির অংশ এবং গ্যান্টজ হচ্ছেন যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম।

আল সাবাইলাহ ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন যে পশ্চিম তীর এবং ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক চালচিত্রের নিয়ে জর্দানের উদ্বেগ হচ্ছে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক পুণর্গঠনের পেছনে প্রধান কারণ। তিনি আরও বলেন যে গ্যান্টজ ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গেও কথা বলেছেন।


XS
SM
MD
LG