অনেক জল্পনা কল্পনা শেষে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যাত্রা শুরু করেছে। এই জোটে রয়েছে বিএনপি, নাগরিক ঐক্য, জেএসডি। এছাড়া রয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। শুরুতেই অবশ্য হোঁচট খেয়েছে জোটটি। অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্পধারা আলাদা অবস্থান নিয়েছে। তারা আলাদা এক সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে, বি-এন-পি’কে ক্ষমতায় বসানোর জন্য ঐক্য করবে না। জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আত্মপ্রকাশ ঘটে। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ৭ দফা ও ১১ লক্ষ্য ঘোষণা করেন। ৭ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙ্গে দেয়া, সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন, খালেদা জিয়াসহ সব রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তি, গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও ডিজিটাল নিরাপত্তাসহ সব কালো আইন বাতিল। এ প্রসঙ্গে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমাদের আজকের ডাক হলো জাতীয় ঐক্যের ডাক। এটা কোনো দলীয় স্বার্থে নয়, জাতীয় স্বার্থে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্যই এই ঐক্যফ্রন্ট করা হয়েছে। অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দুটি কারণে তিনি ঐক্যফ্রন্টে যাননি। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রত্যক্ষ অবস্থান ও ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় একমত হলে বিকল্প ধারা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেবে।
ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী