ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পুলিশ প্রয়াত বিরোধী নেতাসাঈদ আলী গিলানির পরিবারের বিরুদ্ধে কঠোর সন্ত্রাস বিরোধী আইনের আওতায়, ভারত বিরোধী স্লোগান ও তাঁর মৃতদেহ পাকিস্তানের পতাকা দিয়ে মোড়ার অভিযোগ এনেছে I
গিলানি, যিনি বুধবার ৯১ বছর বয়সে মারা যান, তাঁকে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে কাশ্মীরের খোলাখুলি বিরোধিতার এক প্রতীক হিসাবে গণ্য করা হয় এবং যিনি বহু বছর ধরে গৃহবন্দী ছিলেনI
তাঁর ছেলে, নাসিম জানায়, পুলিশ তাঁর বাবার দেহ বাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেয় এবং ভারতীয় কর্তৃপক্ষ পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে একটি স্থানীয় গোরস্থানে তাঁকে কবর দেয়I পুলিশ যা অস্বীকার করে বলেছে যে কতিপয় স্বার্থবাদী মহল এই ভিত্তিহীন গুজব ছড়াচ্ছেI
সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রদর্শিত কথিত ভিডিওতে দেখা যায়, গিলানির আত্মীয় যার মধ্যে বেশির ভাগ মহিলা, সশস্ত্র পুলিশকে ঘরে ঢুকতে বাধা দিচ্ছে, যেখানে পাকিস্তানের পতাকায় আচ্ছাদিত গিলানির দেহ রাখা ছিল I ভিডিওতে দেহটি নিয়ে যাওয়ার সময় মহিলাদের ক্রন্দন ও বিলাপ করতে এবং তাঁর পরিবার ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ঘরে তালাবন্দি করে রাখতে দেখা যায়I
পুলিশ জানায়, Unlawful Activities (Prevention ) Act 'র আওতায় পরিবারের সদস্য ও অন্যান্যদের অনির্দিষ্টভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে, তবে এখনো তাদেরকে আটক করা হয় নিI
২০১৯ সালে কাউকে সন্ত্রাসী হিসাবে চিহ্নিত করতে, সন্ত্রাস বিরোধী আইন সংশোধন করা হয়I এই আইনের আওতায় পুলিশ কোনো প্রমাণাদি ছাড়া কাউকে ৬ মাস আটক করতে পারে এবং দোষী ব্যক্তিকে ৭ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দিতে পারে I
অধিকার সক্রিয়বাদীরা এই আইনকে অতিমাত্রায় কঠোর বলে আখ্যায়িত করেছেন I
(এপি)