অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইরানের ব্যাপারে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া


ইরানের সঙ্গে বিশ্বের ছ’টি শক্তিধর রাষ্ট্রের স্বাক্ষরিত ২০১৫ সালের পরমাণূ চুক্তির ইরান মেনে চলছে এই বিষয়টি প্রত্যয়ন না করার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরি।

কেরি বলেন , তাঁর কথায় , এই সিদ্ধান্ত হচ্ছে অহংবোধ ও নিজস্ব মতাদর্শের পক্ষে বাস্তবতাকে বেপরোয়া ভাবে পরিত্যাগ করা। কেরি , যিনি এই চুক্তির ব্যাপারে আলাপ আলোচনা করেছিলেন আরো বলেছেন , তাঁর কথায় , ট্রাম্প আমাদের হাতকে দূর্বল করছেন , আমাদের মিত্রদের থেকে আমাদেরকে বিচ্ছিন্ন করছেন , ইরানের কট্টরবাদীদে শক্তি যোগাচ্ছেন , উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে নিস্পত্তিকে কঠিন করে তুলছেন এবং সামরিক সংঘাতের দিকে নিয়ে যাবার ঝুঁকি নিচ্ছেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট গতকাল বলেছেন যে বিশ্বের ছ টি শক্তিধর দেশের সঙ্গে স্বাক্ষরিত ইরান চুক্তি বাতিল করা যায় না। টেলিভিশনে জাতীয় ভাবে সম্প্রচারিত ভাষণে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রূহানি এই চুক্তির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য সকল স্বাক্ষরকারীর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি এই Joint Comprehensive Plan of Action বা JCPOA কে আন্তর্জাতিক কুটনীতির জন্য একটি অসাধারণ অর্জন বলে বর্ণনা করেন এবং বলেন ইরান এটি মেনে চলা অব্যাহত রাখবে।

তিনি বলেন ইসলামি প্রজাতন্ত্রী ইরান এই চুক্তি থেকে প্রথমে সরে আসবে না। তবে ঐ চুক্তি অনুযায়ী যদি তার অধিকার এবং স্বার্থের প্রতি সম্মান জানানো না হয় , সে তার সকল প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন থামিয়ে দেবে এবং কোন রকম বিধিনিষেধ ছাড়াই সে শান্তিপূর্ণ লক্ষে পরমাণু কর্মসূচি আবার চালু করবে।

জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রী সিগমার গাব্রিয়েল বলেন ইরান চুক্তি এই প্রথম বারের মতো এটা প্রমাণ করেছে যে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ ঠেকানো যায় , বিশেষত একটি দেশকে পরমাণু অস্ত্র দ্বারা সজ্জিত হতে রোধ করা যায়। তিনি বলেন উত্তর কোরিয়ার মতো দেশের জন্য আমাদের এ রকম দৃষ্টান্তই দরকার।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোঘেরিনি , এ ধরণের সমঝোতা বাতিল করা পৃথিবীর কোন দেশের কোন প্রেসিডেন্টরই এক্তিয়ারে পড়ে না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের অনেক ক্ষমতাই আছে , কিন্তু তাঁর এই ক্ষমতা নেই। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে এই বহুজাতিক চুক্তিটি , জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্থাবে সর্ব সম্মতিক্রমে অনুমোদন লাভ করে।

আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থার পরিচালক ইউকিয়া আমানো এক বিবৃতিতে বলেন যে ইরান তার চুক্তির শর্ত বাস্তবায়িত করছে।

এক যৌথ বিবৃতিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে , ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁ এবং জার্মান চান্সালার আঙ্গেলা মার্কেল বলেছেন তারা ইরানের আনবিক চুক্তি প্রত্যয়ন না করার সিদ্ধান্তের সম্ভাব্য প্রতিক্রয়া সম্পর্কে উদ্বিগ্ন ।

XS
SM
MD
LG