গোপনীয়তা থেকে অবমুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের যে গোয়েন্দা প্রতিবেদন আজ প্রকাশ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ২০১৮ সালে সাংবাদিক জামাল খাশোগজির হত্যা অনুমোদন করেছিলেন। এই বিষয়টির সম্পর্কে অবগত যুক্তরাষ্ট্রের এমন চারজন কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন।
কর্মকর্তারা বলছেন এই প্রতিবেদন যার বেশির ভাগটাই সিআই’এর তৈরি এই বিষয়টিই দেখছে যে, সৌদি যুবরাজ খাশোগজির হত্যা অনুমোদন করেন এবং সম্ভবত হত্যার নির্দেশ দেন যার ওয়াশিংটন পোস্টে লেখা কলামে যুবরাজের নীতিমালার সমালোচনা করা হয়। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গতকাল সংবাদদাতাদের বলেছেন যে, তিনি ঐ প্রতিবদনটি পড়েছেন এবং আশা করছেন শীঘ্রই সৌদি আরবের বাদশাহ সালমানের সঙ্গে কথা বলবেন। ৮৫ বছর বয়সী বাদশাহ সালমানের স্থানে এখন তাঁর ৩৫ বছর বয়সী ছেলে যুবরাজ সালমানই কার্যত শাসন কাজ চালাচ্ছেন। রিয়াদের সঙ্গে সম্পর্ক ঢেলে সাজনোর অংশ হিসেবেই এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হলো। এর আগে বছরের পর বছর এই আরব মিত্র রাষ্ট্র এবং প্রধান তেল উত্পাদনকারী রাষ্ট্রটি তার মানবাধিকার রেকর্ড এবং ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে তার হস্তক্ষেপ সত্বেও ছাড় পেয়ে আসছিল।
ট্রাম্পের সময়ে চার বছরের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের পর বাইডেন এখন নিয়ম অনুযায়ী সৌদি আরবের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চাইছেন। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্রী জেন সাকি গতকাল সংবাদাতাদের বলেছেন যে, বাইডেন কেবলমাত্র সৌদি বাদশাহর সঙ্গেই যোগাযোগ করবেন এবং বলেন অবমুক্ত খাসোগজি-প্রতিবেদনটি শীঘ্রই প্রকাশের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।