দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে ১৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের রায় ঘোষণা করেছে আদালত। তিনি অবৈধভাবে ১০ কোটি ৫ লাখ টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন উল্লেখ করে ওই সম্পদ বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদার মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন। সাদেক হোসেন খোকাকে পলাতক দেখিয়েই এ রায় ঘোষণা করা হলো। তার পক্ষে কোন আইনজীবীর বিচার কার্যক্রমে অংশ নেয়ার সুযোগ ছিল না। তিনি বর্তমানে চিকিৎসার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে সাদেক হোসেন খোকা সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, উচ্চ আদালতের অনুমতি নিয়েই তিনি ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। অথচ পলাতক দেখিয়ে বিচার সম্পন্ন করা হয়েছে একতরফাভাবে।
ওদিকে সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে আদালতের এ রায়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক হিসেবে বর্ণনা করেছে তার দল বিএনপি। দলটির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, এ রায়ে সাদেক হোসেন খোকা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ২০০৮ সালের ২রা এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশন সাদেক হোসেন খোকা, তার স্ত্রী এবং দুই সন্তানের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করে। এ মামলার চার্জশিট থেকে সাদেক হোসেন খোকার দুই সন্তানের নাম বাদ দেয়া হয়। তার স্ত্রী ইসমত আরার বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে।
ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট।