অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জনগণের টাকা জনগণের স্বার্থেই খরচ করতে হবে-কলকাতা হাইকোর্ট


কলকাতা হাইকোর্ট আজ বলেছে, দুর্গাপুজোর নাম করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বড় ক্লাবগুলোকে এবং দুর্গাপুজো কমিটিগুলোকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছে, কিন্তু এই টাকা জনগণের টাকা, তাই জনগণের স্বার্থেই ওই টাকা খরচ করতে হবে। গতকালই কলকাতা হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে আনা জনস্বার্থ মামলায় বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, রাজ্য সরকার যে ভাবে দুর্গাপুজোর জন্যে টাকা দিচ্ছে, সেটা ঠিক কাজ হচ্ছে না। তা ছাড়া দুর্গাপুজোতেই প্রশ্ন তুলে বিচারপতিরা বলেছিলেন, যেখানে স্কুল-কলেজ খোলা হচ্ছে না সেখানে দুর্গাপুজোর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে কী ভাবে? করোনা আবহে এই বিপদের ঝুঁকির মধ্যে জনগণকে ফেলা উচিত কিনা, এই সব প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আজ শুক্রবার হাইকোর্টে রাজ্য সরকারের আইনজীবীর উপস্থিত থাকার কথা ছিল। সরকারি কৌঁসুলি আজ সেখানে উপস্থিত হয়ে বলেন, এই পুজো পশ্চিমবঙ্গের বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব তাই তার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ বার নানা রকম অসুবিধার মধ্যে পুজো হচ্ছে বলে সরকারের তরফে পূজার খরচ কিছুটা অন্তত মেটানোর জন্য ক্লাব ও পুজো কমিটিগুলোকে টাকা দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতিরা বলেন, সরকার যখন কোনও টাকা দেয়, তখন সেটা জনগণের টাকা। সুতরাং সেই টাকা জনগণের জন্যই খরচ করতে হবে। কোনও অনুষ্ঠানের নামে অথবা ক্লাব ও পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের বিনোদনের জন্য ওই টাকা খরচ করা যাবে না। যে সব ক্লাব ও কমিটিগুলো ৫০ হাজার করে টাকা পেয়েছে তাদের বিচারপতি বন্দোপাধ্যায় কড়া নির্দেশ দিয়েছেন, পুরো টাকার ৭৫% খরচ করতে হবে মাস্ক, মাথার আবরণ ও স্যানিটাইজার খাতে। বাকি ২৫% দিতে হবে পুলিশকে, কারণ তারাই জনগণের সঙ্গে সংযোগ সাধনের কাজ করছে। সেটা যাতে আরও ভালভাবে সম্পন্ন করা যায় তার জন্য ওই টাকা পুলিশ পাবে। পুজো কমিটিগুলোর কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে পুরো হিসাব দাখিল করতে বাধ্য থাকবেন। রাজ্য সরকারের তরফে কোনও আধিকারিক এইসব নির্দেশ ঠিকঠাক পালিত হচ্ছে কিনা সেদিকে নজর রাখবেন। পুজো এই মুহূর্তে বন্ধ করার ভাবনা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে করা না হলেও কঠিন নিয়ম-কানুনের আগড়ে বেঁধে আদালত বুঝিয়ে দিয়েছে যে জনগণের টাকা ও জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা যাবে না।

please wait

No media source currently available

0:00 0:02:04 0:00
সরাসরি লিংক


XS
SM
MD
LG