জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর কারণে বাসের পর লঞ্চের ভাড়াও বাড়ানো হয়েছে। রোববার রাত থেকেই পুনঃনির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী লঞ্চ চলাচল শুরু হচ্ছে।
রোববার রাতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কার্যালয়ে সংস্থাটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে লঞ্চ মালিক সমিতির নেতাদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিএ ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, "আজ রাত থেকেই পুনঃনির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী লঞ্চ চলবে। প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে ৬০ পয়সা। বর্তমান ভাড়া এক টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে দুই টাকা ৩০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটা ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রযোজ্য হবে। ১০০ কিলোমিটারের পর প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া হবে দুই টাকা। বর্তমানে সর্বনিম্ন যাত্রী প্রতি ভাড়া ছিল ১৮ টাকা। সেটি বাড়িয়ে ২৫ টাকা করা হয়েছে। সে হিসাবে ভাড়া বেড়েছে শতকরা ৩৫ শতাংশ।"
কমোডর গোলাম সাদেক বলেন, "২০১৩ সালের পর লঞ্চের ভাড়া বাড়ানো হয়নি। যেহেতু তেলের মূল্য বাড়ানো হয়েছে তাই লঞ্চ মালিকরা দাবি করে আসছিলেন ভাড়া বাড়ানোর। আমরা আলোচনা করে যাত্রীদের যাতে কষ্ট না হয়, মালিকরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে দিকগুলো বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজ থেকে এ ভাড়া কার্যকর হবে এবং এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।"এ সময় মালিকদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থার সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেন, "আশা করি আজ রাত থেকেই মালিকরা লঞ্চ চালু করবেন। এখন থেকেই পরিবর্তিত ভাড়ায় লঞ্চ চলবে।"
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় লঞ্চের ভাড়া পুনর্নির্ধারণের বিষয় নিয়ে মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ এ বৈঠক করে। বিকেলে পৌনে ৪টার দিকে এ বৈঠক শুরু হয়ে রাত পৌনে আটটা পর্যন্ত চলে।