ঘোষণা করেছিলেন আগেই তবে নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞার জন্য যেতে পারেননি। সেই নিষেধাজ্ঞা উঠতেই আজ বুধবার পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার মাথাভাঙায় গিয়ে শিতলকুচি গুলিকাণ্ডে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে কথা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।আজ সকালেই কপ্টারে চড়ে মাথাভাঙায় নিহতদের স্মরণসভায় পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন আজ আমার প্রচারের শেষ দিন। তা সত্বেও এসেছি। কারণ ৭২ ঘণ্টা আমাকে আসতে দেওয়া হয়নি। আমরা ছেড়ে কথা বলব না।
দোষী ব্যক্তি যত বড়ই হোক না কেন তার শাস্তি হবে। আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন।সবাইকে আবেদন, শান্তি রক্ষা করুন। বুলেটের বদলে ব্যালটে তার জবাব দেবে। নিহত আনন্দ বর্মণ ও আমরা এক রাজবংশী ভাই। নিহতরা সবাই রাজবংশী। কেউ হিন্দু, কেউ মুসলিম। আমাদের দলের সদস্যদের বলব নিহতদের একটা করে শহিদ বেদী তৈরি করে দিতে। নিহতদের স্মরণসভায় মমতা বলেন, নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছি। ছোট ছোট ছেলেরা মারা গিয়েছে। দেখলাম একজনের স্ত্রী গর্ভবতী। একজনের বাচ্চা একেবারে শিশু। আমি মনে করি এই ঘটনার বিচার হওয়ার প্রয়োজন। যারা এই ঘটনার পেছনে রয়েছে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা আমরা করবই বলে মন্তব্য করেন তিনি।