অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের স্বীকৃতির বর্ণিল উদযাপন


বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের স্বীকৃতির বর্ণিল উদযাপন হলো ঢাকাসহ সারা দেশে। এই ভাষণটি বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে অতিসম্প্রতি ইউনেস্কো স্বীকৃতি দেয়। ঢাকায় আনুষ্ঠানিক উদযাপন শুরু হয় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে। এরপর শুরু হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। রাজনৈতিক নেতাকর্মী সমর্থকদের সঙ্গে মিছিলে যোগ দেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিরা।

এই অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য আগেই লিখিত নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। তিন বাহিনীর সদস্যরা ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন। বিরোধী বিএনপি এটাকে নতুন জামায় পুরনো বাকশাল বলে বর্ণনা করেছে। স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও এতে অংশ নেয়। পুলিশ আগেই ঢাকার বেশিরভাগ রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এর ফলে জনচলাচল বিঘিœত হয়। মূল অনুষ্ঠানটি হয় সোহরাওর্দী উদ্যানে। যেখান থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বাঙালির স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। প্রায় একই ধরনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মরণ করেন সেদিনের কথা। বলেন, ওই ভাষণেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার দিক-নির্দেশনা দিয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের পর ৭ই মার্চের ভাষণটি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। অথচ এই ভাষণটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল। সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী অবশ্য যুদ্ধাপরাধী ও ইতিহাস বিকৃতিকারীরা আর যাতে ক্ষমতায় না আসে তার ওপর জোর দেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লেজার শো’র মধ্য দিয়ে উদযাপনের সমাপ্তি ঘটে। ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী

XS
SM
MD
LG