ট্রাম্প প্রচারণার সঙ্গে রাশিয়ার সম্ভাব্য যোগাযোগ বিষয়টি তদন্তে সাবেক এফবিআই পরিচালক রবার্ট মুলারকে স্পেশাল কাউন্সেল নিয়োগের সমালোচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজ থেকে এ বিষয় নিয়ে বিল গ্যালোর তথ্যমতে রবার্ট মুলারকে স্পেশাল কাউন্সেল নিয়োগকে সহজভাবে দেখছেন না প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি এক সভায় দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেছেন এটা একটা নিরর্থক প্রচেষ্টার মতো।
“এই প্রয়াসকে আমি সম্মান করি তবে পুরো বিষয়টা অনেকটা উইচ হান্ট বা দোষ খোঁজার ব্যার্থ প্রয়াস।”
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর নির্বাচনী প্রচারণা দলকে রাশিয়া সহায়তা করেছিল এই অভিযোগ আবারো অস্বীকার করেন তিনি।
“বিশ্বাস করুন, কোনো ধরণের গোপন আঁতাত ছিল না। আমার কাছে এটি আজব মনে হয়। সবাই তাই মনে করে”।
তবে কৌশলগতভাবে তা নয়; সবাই তা মনে করে না। এমনকি ট্রাম্প প্রশাসনের ডেপুটি এ্যাটর্নী জেনারেল Rod Rosenstein যিনি বুধবার সাবেক এফবিআই পরিচালক রবার্ট মুলারকে ঐ তদন্ত কাজের নেতৃত্ব দেয়ার জন্যে স্পেশাল কাউন্সেল হিসাবে নিয়োগ দিয়েছেন, তিনিও না।
এফবিআই পরিচালকের পদ থেকে জেমস কোমিকে বরখাস্ত করবার পর অভিযোগ উঠেছে ডনাল্ড ট্রাম্প ঐ তদন্তে বাধা দিচ্ছিলেন। শোনা যাচ্ছে সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ফ্লিনের রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ সম্পর্কিত অভিযোগ তদন্তে জেমস কোমিকে তিনি বারবার নিষেধ করেছিলেন। বুধবার সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা তা নিয়ে প্রশ্ন করলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পরের প্রশ্নের জন্য আহবান জানান।
কংগ্রেসের অনেক প্রতিনিধিও এ বিষয়ে সন্তুষ্ট নন। কানেক্টিকাটের ডেমোক্রেটিক সেনেটর রিচার্ড ব্লুমেন্থাল, “ন্যায়বিচারে বাধা প্রদানের অনেক শক্ত বাধা এসেছে এবং তার প্রমান আছে”।
সাউথ ক্যারোলাইনার রিপাবলিকান সেনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম, “আমার মনে হয় এখনতো এটি আপরাধ তদন্তের মতো বিষয় হয়ে গেছে”।
তদন্তে আরো নতুন নতুন কি আসে কে কে জড়িয়ে পড়ে তা বলঅ মুস্কিল। তবে ট্রাম্প পরিস্কার করে বলেছেন তিনি এর মধ্যে নেই।
“আমার এবং আমার প্রচারনা দলের মধ্যে নিশ্চিতভাবেই কোনো রকম গোপন আঁতাত ছিল না। তবে আমি সবসময় আমার নিজের কথাই বলতে পারি”।
অনেকে বলছেন এটি ছিল প্রেসিডেন্টর একটি সতর্ক মন্তব্য।
রবার্ট মুলারকে স্পেশাল কাউন্সেল করায় প্রতিনিধি পরিষদের বেশিরভাগই স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এবং এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। সকলে আশা করছেন সাবেক এই গোয়েন্দা প্রধান খুব ভালোভাবে নির্দলীয় স্বচ্ছ একটি তদন্ত করবেন। রিপাবলিকান বিশ্লেষক এভান সেইগফ্রিড যেমনটি বললেন, “রবার্ট মুলারকে বিচার বিভাগ কিংবা এফবিআই থেকে পৃথক করে স্বতন্ত্রতা দেয়া হয়েছে। তার নিজস্ব বাজেট রয়েছে; তিনি ইচ্ছামত লোক নিয়োগ করতে পারবেন। যে কেউকে সরিয়ে দিতে পারবেন। তদন্তের স্বার্থে তাকে স্বাধিনভাবে কাজ করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে”।
আগামী সপ্তাহে সাবেক এফবিআই পরিচালক জেমস কোমির কংগ্রেসের উন্মুক্ত অধিবেশনে শুনানীতে অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে বলে অনেকে ধারণা করছেন।