এ্যামনেস্টী ইন্টারন্যাশনাল, উত্তর পশ্চিমাঞ্চলবর্তী রাখাইন রাজ্যে নতুন করে নৃশংস অত্যাচার নিপিড়ন চালানো হচ্ছে বলে মিয়াম্মারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনছে।ওখানটাতেই ,এক বছর আগে তারা অকথ্য দমন অভিযান চালিয়েছিলো রোহিঙ্গা মূসলিমদের ওপরে।
আরাকান আর্মী বিদ্রোহিদের বিরুদ্ধে লড়তে সামরিক বাহিনী রাখাইনে হাজার হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছে।রাখাইনের জাতিগোষ্ঠীভুক্ত বৌদ্ধদের জন্যে রাখাইন অধিকতরো স্বায়ত্ব শাসন দাবি করছে। আজ বুধবার প্রকাশিত এক রিপোর্টে মানবাধিকার নজরদারী সংস্থা মিয়াম্মার সেনাদের চালানো অসংখ্য যুদ্ধাপরাধের বিবরণ তুলে ধরেছে।এসব অশুভ তৎপরতার মধ্যে রয়েছে বিচার বহির্ভুত হত্যাযজ্ঞ- বাছবিচার না করে যথেচ্ছ ধরপাকড়-নিগ্রহ-নির্যাতন এবং তরিকামাফিকভাবে লোকজনকে গুম করে ফেলা। পূর্ব ও দক্ষিন পূর্ব এশিয়ায় নিযুক্ত এ্যামনেস্টীর আঞ্চলিক পরিচালক নিকোলাস বেকেলীন বলছেন – রাখাইনে এখন যে অভিযান চালাচ্ছে সামরিক বাহিনী তাতে অনূশোচনার লেশমাত্র নেই এরকমের অকথ্য এবং জবাবদিহির লেশমাত্র নেই, অসামরিক লোকজনের ওপর সামরিক বাহিনীর এহেন ত্রাস সঞ্চারী সব তৎপরতা প্রকট হয়ে দেখা দিচ্ছে।
সাত লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা মূসলীম উপায়ান্তর না দেখে প্রাণ নিয়ে বাংলাদেশে পালাতে বাধ্য হয়েছে – দু’হাজার সতেরো সালের আগস্ট মাসে তাদের ওপর চালানো হয় মিয়াম্মার সেনা বাহিনীর পোড়ামাটি নীতি, রাজ্যের নিরাপত্তা চৌকিগুলোর ওপর রোহিঙ্গা জঙ্গিদের তরফের চড়াও অভিযানের জবাব দিতে।
খুন জখম, বলাৎকার, অগ্নিসংযোগ, এসবের অসংখ্য বিবরণ প্রাণে বঁচে যাওয়া লোকজনের কাছ থেকে শোনার পর জাতিসংঘ, মিয়াম্মার সেনা বাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিসন্ধি ছিলো, এরকমের অভিযোগ উত্থাপন করে।