মিয়ানমারের সেনাপ্রধান জেনারেল মিং অং লাইং বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন। গত সোমবার রাতে দেশটির জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া টেলিভিশন ও বেতার ভাষণে বরাবরের মতোই রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার না করে ওই দেশ থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া বাস্তুচ্যুত শব্দটি ব্যবহার করেন বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম খবর দিয়েছে। মিয়ানমারের সেনাপ্রধান প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়ার আশ্বাসের সাথে সাথে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াটি বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের নীতিমালার আলোকেই হবে বলে উল্লেখ করেন। তবে জেনারেল মিং কবে, কখন প্রত্যাবাসন শুরু হবে তার কোন উল্লেখ করেননি।
এদিকে. ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রশ্নে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের কথা থাকলেও তা এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ঢাকায় বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষকগণ মনে করেন, মিয়ানমারের সেনা প্রধানের বক্তব্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কোন অগ্রগতি হবে এমনটা আশা করা যায় না। অভিবাসন ও শরণার্থী বিষয়ক বিশ্লেষক আসিফ মুনীর মনে করেন, সেনাপ্রধানের বক্তব্য শুধুই কথার কথা। তিনি প্রতিবেশী বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ের চাপ এড়াতেই এমন বক্তব্য দিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞগণ বলেন, মিয়ানমারে পুনরায় সেনাশাসনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ঢাকায় পররাষ্ট্র দপ্তর থেকেও মিয়ানমারের সেনাপ্রধানের বক্তব্যের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
