অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

থাইল্যান্ডে মানব পাচার মামলায় সেনা বাহিনীর জেনারেল অভিযুক্ত 


থাইল্যান্ডে বেশ বড়ো মাপের যে একখানা মানব পাচার মামলার বিচার হয়ে গেলো তাতে থাইল্যান্ডের সেনা বাহিনীর এক জেনারেলও অভিযুক্ত অপর বেশ কয়েক ডজন আসামীর সঙ্গে।

শতাধিক আসামীর বিচারে দণ্ডবিধান রায় ঘোষণা শুরু করেন বিচারক বুধবার দিন।
আসামীদের ভেতর ছিল সামরিক অফিসার,ছিল পুলিশ কর্তা – ছিল স্থানীয় রাজনীতিবিদ। দু’ হাজার পনেরো সালে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায়, জঙ্গলের ভেতর, অগভীর কিছু গণকবরের হদিশ মেলবার পরই এদের গ্রেফতার করা হয়েছিলো। জিম্মি করে আটকিয়ে রাখা অভিবাসীদেরকে ওখানকারই ক্যাম্পে রাখা হতো, তাদের পরিবারের কাছ থেকে পণ বন্দীর অর্থ উসুল না হওয়া পর্যন্ত। অনেকেরই ওখানেই মৃত্যু ঘটে হয় অনাহারে- না’হয়তো মশার কামড়ে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে।

ঐসব অভিবাসীর মধ্যে মিয়াম্মারের হিংসা কবলিত রাখাইন রাজ্যের প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমরা ছিল, ছিল থাইল্যান্ডে-মালয়েশিয়ায়-ইন্দোনেশিয়ায় কাজের খোঁজে আসা বাংলাদেশের মানুষ।

বুধবারের রায়ে দোষী সাব্যস্তদের ভেতরে ছিল সেনা বাহিনীর লিউটেনেন্ট জেনারেল মানাস কোংপায়েন-বিচারাধীনদের ভেতর সবচেয়ে বড়ো পদের মানুষ।
এ মামলা সবচেয়ে বেশি করে – সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেছিলো সেই তখন যখন কিনা মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের ভেতর প্রধান ছিলেন যিনি সেই মেজর জেনারেল পাউইন পংসিরীন থাইল্যান্ড ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন এই ব’লে যে জীবন তাঁর বিপন্ন প্রায়।

XS
SM
MD
LG