সংবাদ সংস্থা রয়টার জানিয়েছে মিয়ান্মারের জেনারেল মিন অং ল্যাং, যিনি সে দেশে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলে নেতৃত্ব দিয়েছেন যার কারণে সে দেশে গোলযোগ শুরু হয়, তিনি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার নেতাদের বৈঠকে যোগ দিতে আজ জাকার্তায় গিয়ে পৌঁছেছেন।
আসিয়ানের এই নেতারা ঐ দারিদ্রপীড়িত দেশে সহিংসতা বন্ধের উপায় বের করার চেষ্টা করছেন। জাকার্তায় দক্ষিণ পূর্ব এশীয় রাষ্ট্রসমূহের সমিতি বা আসিয়ানের নেতাদের এই সমাবেশ হচ্ছে মিয়ান্মারে সংকট নিরসনের প্রথম সমন্বিত আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা। চীন, ভারত ও থাইল্যান্ড হচ্ছে মিয়ান্মারের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। ১০ টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত আসিয়ানের অংশ হচ্ছে মিয়ান্মার। মহামারি সত্বেও প্রতিনিধিরা প্রত্যক্ষভাবেই এতে অংশ নিচ্ছেন। ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনু মারসুদি শুক্রবার বলেন যে, “মিয়ান্মারের পরিস্থিতি সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ এবং এই নাজুক পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে মিয়ান্মারকে সাহায্য করার সংকল্পই এই শীর্ষ সম্মেলনে প্রতিবিম্বিত হচ্ছে”। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুটনীতিক এবং সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, আসিয়ান নেতারা মিন অং ল্যাং‘এর কাছ থেকে এই প্রতিশ্রুতি চান যে, তাঁর নিরাপত্তা বাহিনীকে তিনি সংযত করবেন’। সেখানে গণ অভূত্থান শুরু হবার পর থেকে নিরাপত্তা বাহিনী ৭৪৫ জনকে হত্যা করেছে বলে নজরদারী সংস্থাগুলো বলছে।
ফিলিপিন্স‘এর পররাষ্ট্র মন্ত্রী টেডি লকসিন এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, “ মিয়ান্মারকে ভৌগলিক, রাজনৈতিক, সামাজিক এবং জাতীয় বিভাজন এড়াতে হবে যাতে করে দেশটি জাতিগোষ্ঠিগত সংঘাতের স্থানে পরিণত না হয়। মিয়ান্মারকে নিজেই শান্তির পথ খুঁজে নিতে হবে”। আসিয়ান কর্মকর্তা এবং কুটনীতিকরা মিয়ান্মারে মানবিক সাহায্য মিশন পাঠানোর এবং একজন দূত নিয়োগেরও উদ্যোগ নিচ্ছেন যাতে করে সামরিক হুন্তার সঙ্গে ক্ষমতাচ্যূত বিধায়ক এবং সশস্ত্র জাতিগোষ্ঠিগুলো,যারা এরই মধ্যে জাতীয় ঐকমত্যের সরকার গঠন করেছে, সংলাপ শুরু করা যায়।