অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

 প্রথম নক্ষত্রগুলো দেখার দুঃসাহসী অভিলাষে মহাকাশে টেলিস্কোপ


নাসা'র জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ বহনকারী আরিয়ান ৫ রকেটটি বড়দিনের সকালে মহাকাশের পথে পাড়ি জমায়, ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২১/নাসা/এপি
নাসা'র জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ বহনকারী আরিয়ান ৫ রকেটটি বড়দিনের সকালে মহাকাশের পথে পাড়ি জমায়, ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২১/নাসা/এপি

প্রথম নক্ষত্রপুঞ্জও ছায়াপথ থেকে আলোর দ্যুতি এবং জীবনের সূত্রের সন্ধানে বিশ্বকে পরিভ্রমণের লক্ষ্যে শনিবার বিশ্বের সর্ববৃহৎ এবং সবচাইতে শক্তিশালী একটি টেলিস্কোপবাহী মহাকাশ যান উৎক্ষেপণ করা হয়।

দক্ষিণ আমেরিকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলে অবস্থিত ফ্রেঞ্চ গায়ানা থেকে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ বহন করে নাসা'র মহাকাশ যানটি ইউরোপীয় আরিয়ান রকেটে চেপে বড়দিনের সকালে মহাকাশে পথে পাড়ি জমায়।

১০০০ কোটি ডলারের এই পর্যবেক্ষণ যানটি ১০ লক্ষ মাইল বা ১০ লক্ষ ৬০ হাজার কিলোমিটার গন্তব্য লক্ষ্যে পৌঁছাবে যা কিনা চাঁদের অবস্থানের ৪ গুনের বেশি দুরত্বে অবস্থিত। গন্তব্যে পৌঁছাতে এর সময় লাগবে ১ মাস এবং আরো ৫ মাস পরে যানটি তার ইনফ্রারেড চোখের সাহায্যে বিশ্বের ছবি বিন্যাস করে পাঠাতে শুরু করবে।

প্রথমেই টেলিস্কোপটির বিশাল আয়না এবং রোদের ঢাকনিটি খুলে যাবে, যা বর্তমানে রকেটের নাকের কাছে অরিগামি পদ্ধতিতে ভাঁজ করা রয়েছে।

নাসা'র প্রশাসক বিল নেলসন, ওয়েব টেলিস্কোপকে একটি টাইম মেশিন বা সময়ের যন্ত্র বলে অভিহিত করেছেন, "যা আমাদের বিশ্ব-ব্রহ্মান্ডের ও বিশ্বে তার অবস্থা সম্পর্কে জানাবে, জানাবে আমরা কে বা কি দিয়ে তৈরী। আর এই সন্ধান হবে অনন্ত কালের"।

প্রশাসক নেলসন উৎক্ষেপণের পর ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারে বলেন, "আমরা কখনো যা ভাবিনি এমন সব অবিশ্বাস্য ঘটনার সন্ধান আমরা খুঁজে পেতে চলেছি। এখনো অনেক কিছু সঠিকভাবে চলতে হবে, কাজ করতে হবে। আমরা জানি বড় ধরণের পুরস্কার পেতে বড় ধরণের ঝুঁকিও থাকে"।

পুরোনো হাবল স্পেস টেলিস্কোপের উত্তরসূরি হিসাবে নাসা ইউরোপ ও কানাডার স্পেস সংস্থাসমূহের সহযোগিতায় ১৯৯০ ‘এর দশক থেকে ২৯টি দেশের লক্ষ লক্ষ কর্মী নতুন এই ৭ টনের টেলিস্কোপটি নির্মাণ ও উৎক্ষেপণে সহায়তা করেছেন। ১৯৬০ সালে কর্মরত নাসা'র প্রশাসক জেমস ওয়েবের নামানুসারে এই নতুন টেলিস্কোপের নামকরন করা হয়েছে

XS
SM
MD
LG