আমাদের তরুণরা প্রতিনিয়ত আশাবাদী করে তুলছে আমাদের। শুভ ও ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হয়ে তাদের মাঝে আমরা দেখতে পাচ্ছি নিরাপদ আগামীর প্রতিচ্ছবি। স্বস্তির নানা ধরনের গল্পের বাহক তরুণদের কাছ থেকেই আমরা পাচ্ছি সুদিনের হাতছানি। জাগো ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সারাদেশ থেকে এমন ৫০০ তরুণের অংশগ্রহণে গত ১২ মার্চ কক্সবাজারে শেষ হল ‘ন্যাশনাল ইয়ুথ অ্যাসেম্বলি ২০১৯’। তৃতীয়বারের মত এই সম্মেলনটি শুরু হয়েছিল ৯ মার্চ। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনের লক্ষ্য ছিল তরুণদের ক্ষমতায়ন ও স্বেচ্ছাসেবিতায় উৎসাহিত করা এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী তাদের সমাজ বিনির্মাণ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত করা।
জাগো ফাউন্ডেশনের ইয়ুথ উইং,‘ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ (ভিবিডি)’ কর্মসূচির আওতায় এ সম্মেলন থেকে আলোচনা, দক্ষতা উন্নয়নকারী ওয়ার্কশপ, বিভিন্ন সেশন, চ্যালেঞ্জ ও নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে দক্ষ হবার প্রত্যাশায় তরুণরা উপস্থিত হন এই সম্মেলনে।
সারাদেশ থেকে তরুণ অংশগ্রহণকারীরা দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা’র প্রতিনিধি, স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব, মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূতসহ সমাজের শীর্ষস্থানীয় নীতি নির্ধারকদের সাথে দেখা করার সুযোগ পায় এ আয়োজন থেকে।
এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করা শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ ও প্রতিনিধিরা তরুণদের উদ্দেশ্যে নেতৃত্ব, সড়ক নিরাপত্তা,আর্থিক স্বাক্ষরতা, তরুণদের ক্ষমতায়ন, তথ্য পাওয়ার সুযোগ,কার্যকরী যোগাযোগ, মানবসম্পদ এবং সফলতার গল্প বলেন এবং তাদের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেন। ভিবিডি’র তরুণ স্বেচ্ছাসেবীরা তাদের পরিকল্পনা ও কাজ এবং এর নানা প্রেক্ষিত নিয়ে সম্মেলনে নিজেদেরও ধারণা ব্যক্ত করে। পাশাপাশি, অংশগ্রহণকারী অতিথিরা নিজেদের অভিজ্ঞতা ও ধারণা এবং দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তরুণদের থেকে তাদের প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেন। স্বেচ্ছাসেবীরা যারা এখন অ্যাকটিভ ইয়ুথ সিটিজেন হিসেবে কাজ করছে, তাদের জেলায় ফিরে যাবেন এবং এসডিজি লক্ষ্য অনুযাযী কমিউনিটি বিল্ডিং কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হবেন।
সম্মেলনের শেষদিন বক্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. মজিবর রহমান, ইউএনডিপি’র ইউএনভি বাংলাদেশের কান্ট্রি ফোকাল পয়েন্টের ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অ্যানালিস্ট আক্তার উদ্দীন, ইউএনডিপি’র কমিউনিকেশন হেড আব্দুল কাইয়ুম এবং মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক।