করোনার নতুন ঢেউয়ের কারণে অর্থনৈতিক ও সামাজিক খাতের ওপরে সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া নিয়ে বিশেষজ্ঞ, অর্থনীতিবিদসহ সংশ্লিষ্টরা গভীর উদ্বেগ ও শংকা প্রকাশ করে বলেছেন, করোনার আগের যে ধাক্কা তা সামাল দেওয়াই যেখানে এখনও চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে, সেখানে করোনার নতুন ঢেউয়ের চাপ মোকাবেলা করা বাংলাদেশের পক্ষে প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। তারা বলছেন, অভ্যন্তরীণ সংকট মোকাবেলার প্রশ্নটি বাদ দিলেও ইউরোপের দেশগুলোসহ বাংলাদেশের রপ্তানির গন্তব্যের অঞ্চলগুলোতে করোনার তৃতীয় ঢেউ চলছে।
এছাড়া অভিবাসী শ্রমিকদের বিদেশ যাত্রাসহ সামগ্রিকভাবে অর্থনীতির ওপর বড় ধরনের প্রতিকূল পরিবেশ সৃষ্টির শংকা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদগণ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং গবেষণা সংস্থা সানেম-এর নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান মনে করেন, ইউরোপসহ বিভিন্নস্থানের রপ্তানির গন্তব্যগুলোতে করোনার নতুন ঢেউয়ের অভিঘাত মোকাবেলা বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এদিকে, লে-অফ ঘোষণার প্রতিবাদ এবং প্রাপ্য পাওনা মিটিয়ে দেয়ার দাবিতে ঢাকার তেজগাঁওয়ের দু’টো গার্মেন্টস কারখানার বিক্ষোভরত অসংখ্য শ্রমিক মঙ্গলবার সড়ক অবরোধ এবং পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ এবং কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এতে কমপক্ষে ৯ জন গার্মেন্টস শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছেন। গার্মেন্টস শ্রমিকরা পুলিশ গুলি ছুড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।