ক্যালেন্ডারের পাতায় ২০২০ সাল পেরিয়ে এসেছে ২০২১। কক্সবাজার শরণার্থী শিবির থেকে সাগর পেরিয়ে কিছু রোহিঙ্গা এসেছে ভাসানচরে।
ভোরের আকাশে আলো ছড়াচ্ছে চাঁদ। সরব হয়েছে পাখিরা। নতুন স্থানান্তর হওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে সকালের খাবার।আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপর দিয়ে কেবল সূর্য উঁকি দিচ্ছে। নতুন এক আশার আলো নিয়ে জীবন শুরু করেছে রোহিঙ্গারা।প্রার্থনায় মনোযোগী হয়েছেন ধর্মপ্রাণ কিছু রোহিঙ্গা। অনেকেই নতুন বিছানা ছেড়ে বেরুচ্ছেন রাস্তায়।কেউ পোহাচ্ছেন আগুন, কেউ বা রোদ। পথে পথে জমেছে আড্ডা।RPN নামক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এতক্ষণে শেষ হয়েছে রান্না।ভাসনচর আশ্রয়ণে দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে রান্না করা খাবারের প্যাকেট।
ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের পরিচালক কমোডোর আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী জানান, প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গাকে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দিতে প্রস্তুত করা হয়েছে ভাসানচর। এখন স্থানান্তর হয়েছে প্রায় ৪ হাজার রোহিঙ্গা।আশ্রয়ণ কেন্দ্রে ২০২০ সালের ইতি টানার বার্তা দিয়ে যায় বিদায়ী সুর্য; কিন্তু শরণার্থী জীবনের ইতি টানার খবরটি কেউ দিয়ে যায়না বাস্তুচ্যুত মানুষের জীবনে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের এই মিটিমিটি আলো কতটুকু আলোকিত করতে পারবে রোহিঙ্গাদের জীবন- তা অজানা।