অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

দক্ষিন ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন নিশা দেসাই বিসওয়াল


বৃহস্পতিবার অপরাহ্নে যুক্তরাষ্ট্রে নবনিযুক্ত দক্ষিন ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেসাই বিসওয়াল অনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেন। শপথ বাক্য পাঠ করান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরী।

এ সময় নিশা দেসাই বিসওয়ালের কাজের প্রশংসা করে জন কেরী বলেন, “আমিই শেষ ব্যাক্তি নই যে এই রমনীর অসামান্য কর্মতৎপরতা, দক্ষতা ও উদ্যমী প্রাণশক্তির কথা বলছি। চিন্তা করে দেখুন, এই সেই রমনী যিনি ৬ বছর বয়সে ভারতের একটি ছোট্ট শহর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন এবং এখন এই পররাষ্ট্র দফতরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ন একজন নেতা হয়ে উঠলেন। এটি একটি চমৎকার গল্প। একটি আমেরিকান গল্প। এবং এটি হচ্ছে আমেরিকান হবার শক্তির প্রমান। এই উদাহরণ আমাদেরকে একথা স্মরণ করতে সহায়তা করে যে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে অভিবাসিরা নব উদ্যমে সজীব করে তুলছেন আমেরিকাকে নতুন নতুনভাবে এবং আমাদেরকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন আমাদের সাধারন শেকড়ের কথা এবং আমেরিকার ইতিহাসের জন্য রচনা করছেন নতুন অধ্যায়”।

সম্প্রতি নিশা দেসাই বিসওয়ালের বাংলাদেশ সফরের উদাহরণ তুলে ধরে জন কেরী বলেন, “বাংলাদেশ সফরে গিয়ে নিশা দেখিয়ে দিয়েছেন যে তিনি আমেরিকার মুল্যবোধের পক্ষে দাঁড়ানোর এবং কথা বলার একটি সুযোগও হারান না। তিনি বাংলাদেশে নেতৃত্বের দলীয় মতবিরোধের উর্ধে উঠে শান্তিপূর্ন ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পক্ষ্যে বলিষ্ঠভাবে কথা বলেছেন”।
শপথ নেয়ার পর তাঁর বক্তব্যে নিশা দেসওয়াল তার পেশাগত জীবনের বিবরণ তুলে ধরেন।

২০০৮ সালে প্রেসিডেন্ট ওবামার প্রচারণা ক্যাম্পে কাজের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমি জানি সারা বিশ্বের প্রতি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গীর কথা, জানি তাঁর জীবনের গল্প, তাঁর অভিজ্ঞতার কথা এবং সেজন্য তিনি বিশ্বের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যোগাযোগ কিভাবে চান, সেই লক্ষ্য পূরনে কাজ করার অঙ্গীকার করেছি”।

তিনি বলেন, “আমি গর্বিত যে বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অধীনে এই প্রথমবার ছয় আঞ্চলিক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে পাঁচ জনই নারী”।

তিনি বলেন বাল্যকাল থেকেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সেবা করার সুযোগ খুঁজতেন, যেভাবে তাঁর দাদা (যিনি ছিলেন ভারতে একজন মুক্তিযোদ্ধা) তাঁর দেশের সেবা করেছিলেন।

অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সময়ে নিশা বিসওয়ালের সহকর্মীরাও।
XS
SM
MD
LG