অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

নূর মুকাদ্দামের জীবনের শেষ মুহূর্তগুলো ছিল লোমহর্ষক


পাকিস্তানের ইসলামাবাদে নৃশংসভাবে খুন হন নুর মুকাদ্দাম। এক নারী অধিকার কর্মী তাঁর প্রতি সম্মান জানাতে ছবির সামনে মোমবাতি জালাচ্ছেন।২৫ জুলাই, ২০২১।
পাকিস্তানের ইসলামাবাদে নৃশংসভাবে খুন হন নুর মুকাদ্দাম। এক নারী অধিকার কর্মী তাঁর প্রতি সম্মান জানাতে ছবির সামনে মোমবাতি জালাচ্ছেন।২৫ জুলাই, ২০২১।

নূর মুকাদ্দামের জীবনের শেষ মুহূর্তগুলো ছিল লোমহর্ষক। ২৭ বছর বয়সী এই নারীকে বারবার মারধর করা হয়েছে।প্রাণ বাঁচাতে তিনি জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়তে চেয়েছিলেন কিন্তু চুলের মুঠি ধরে টেনে এনে তাকে আবার মারধর করা হয়।পরিশেষে শিরচ্ছেদ করা হয়। ছোটবেলার এক বন্ধুর বিরুদ্ধে তার হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত সপ্তাহে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের বিত্তশীল পাড়ায় এই ভয়ানক হত্যাকাণ্ড ঘটে। পাকিস্তানে নারীদের উপর ধারাবাহিক হামলার সর্বসাম্প্রতিক ঘটনা এটি। অধিকার কর্মীরা বলছেন দেশটিতে ধর্মীয় উগ্রবাদ বৃদ্ধি পাবার কারণে লিঙ্গভিত্তিক হামলা বাড়ছে।

বিশিষ্ট অধিকার কর্মী তাহিরা আবদুল্লাহ বলেন, মুকাদ্দাম একজন পাকিস্তানী কূটনীতিকের মেয়ে এবং দেশের অভিজাত শ্রেণীর সদস্য যার দরুন পাকিস্তানে নারীদের বিরুদ্ধে নিরলস এবং ক্রমবর্ধমান সহিংসতার বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। কিন্তু দেশের দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বেশিরভাগ নারী এই ধরনের সহিংসতার শিকার এবং তাদের মৃত্যুর খবর প্রায়ই প্রকাশিত হয় না বা যখন হয়, তখন প্রায়ই উপেক্ষা করা হয়।

আবদুল্লাহ বলেন, "এক সপ্তাহের মধ্যে আমি আপনাকে আমার হাতের চেয়ে দীর্ঘ নারীদের বিরুদ্ধে আক্রমণের একটি তালিকা দিতে পারি।পাকিস্তানে যৌন অপরাধ এবং নারীর প্রতি সহিংসতার মহামারী একটি নীরব মহামারী। কেউ এটা দেখে না। কেউ এটা নিয়ে কথা বলছে না।"

তারপরও, পাকিস্তানের সংসদ চলতি মাসে একটি প্রস্তাব পাস করতে ব্যর্থ হয়েছে যেটি স্বামীর হামলা সহ বাড়িতে সহিংসতা থেকে নারীদের রক্ষা করতে পারে।তার পরিবর্তে, একটি ইসলামী মতাদর্শ পরিষদকে এটি পরিমাপ করার জন্য বলা হয়েছে - যে পরিষদ আগে বলেছিল যে একজন স্বামী তার স্ত্রীকে প্রহার করতে পারে।

এই বছরের শুরুতে প্রকাশিত হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন অনুযায়ী পুরো দেশ থেকে পারিবারিক সহিংসতার হটলাইন থেকে সংগৃহীত নথিতে দেখা যাচ্ছে গত বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে দুশো শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছেপারিবারিক সহিংসতা। রিপোর্ট অনুযায়ী করোনাকালে মার্চে লকডাউন শুরু হবার পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।

XS
SM
MD
LG