করোনা পরিস্থিতির কারণে শহীদ মিনারে প্রবেশের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। আজ মধ্যরাত থেকে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি শুরু হবে। ১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর ইউনেস্কোর এক ঘোষণায় ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বলা হয়েছে, প্রতিটি সংগঠনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পাঁচজন প্রতিনিধি শহীদ মিনারে ফুল দিতে পারবেন। ব্যক্তি পর্যায়ে দু'জনের বেশি নয়। মাস্ক ছাড়া শহীদ মিনার এলাকায় কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। হাত ধোয়ার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম বিকেলে শহীদ মিনারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, বিশেষ এক পরিস্থিতিতে আমরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করতে যাচ্ছি। চারদিকে করোনা ভ্যাকসিনেশন চলছে। ভয়ভীতিতো আছেই। এই অবস্থায় আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি জানান, তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। র্যাবকে সতর্ক রাখা হয়েছে। পুরো শহীদ মিনার এলাকা সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি করা হবে।
ওদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একুশে পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে বলেছেন, বাঙ্গালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে একুশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একুশের পথ ধরেই স্বাধীনতা এসেছে। প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ২১জন বিজয়ীর হাতে পদক তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে। সম্মানের সাথে চলবে। কারো কাছে মাথা পেতে নয়। আমরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে আত্মমর্যাদা নিয়ে চলবো।
ওদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরো ৩৫০ জন।