অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

টিকার ভুয়া এসএমএস পেয়ে সংসদীয় কমিটি বিব্রত


পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি

বাংলাদেশে বেসরকারিখাতে টিকার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেয়া হয়নি। এ সম্পর্কিত সরকারি কোনো ঘোষণাও নেই। কিন্তু কে বা কারা এসএমএস পাঠিয়ে ব্যবসার চেষ্টা করছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ফারুক খান এ ধরনের একটি এসএমএস পেয়েছেন। এতে বলা হয়, তাদের কাছে অনুমোদিত টিকা রয়েছে, ইচ্ছা করলে নিতে পারেন। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির এক বৈঠকে ফারুক খান এ তথ্য জানান।

কমিটির অন্যতম সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন পেয়েছেন অন্য একটি এসএমএস। এতে একটি পার্টি বলেছে, তারা দ্রুত রাশিয়া থেকে স্পুটনিক-ভি’র টিকা এনে দিতে পারবে। পরে রাশিয়ার দূতাবাসে যোগাযোগ করে মন্ত্রী জানতে পারেন, এই টিকার কোনো এজেন্ট বাংলাদেশে নেই। বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। বলা হয়, বেসরকারিখাতে টিকা চলে গেলে নানা ধরনের দুর্নীতির আশঙ্কা রয়েছে। বৈঠক থেকে সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, কোনো অবস্থাতেই যেন বেসরকারিখাতে টিকা আমদানির অনুমতি না দেয়া হয়। কমিটির আশঙ্কা- বেসরকারিখাতে টিকা দেয়ার অনুমতি দেয়া হলে মেয়াদোত্তীর্ণ টিকায় ভরে যাবে দেশ। তখন সব দোষ পড়বে সরকারের ওপর। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও টিকা বিক্রিতে নেমে পড়বেন। বৈঠক শেষে ফারুক খান এমপি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সবাইকে সতর্ক করেছি। কেনা টিকা হোক বা উপহারের টিকা হোক, মেয়াদ দেখে আনতে হবে। তা নাহলে সুযোগ নেবে একটি চক্র। মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, হাসপাতালগুলোতে শয্যা খালি নেই। নতুন রোগী নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তার মতে, করোনা নিয়ন্ত্রণে না এলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। তাই জনগণকে সজাগ হতে হবে। সচেতন থাকতে হবে। মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। একই অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য দপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার খুরশীদ আলম জানান, হাসপাতালগুলোতে আর শয্যা বাড়ানো সম্ভব নয়। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আবারও বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে।

৮ই আগস্ট জারিকৃত এক সরকারি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ১১ই আগস্ট থেকে গণপরিবহন চলবে। তবে বাসের সংখ্যা হবে অর্ধেক। বৃহস্পতিবার এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ১৯শে আগস্ট থেকে শতভাগ যানবাহন চলবে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, রিসোর্ট, পর্যটনকেন্দ্র, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে। বৃহস্পতিবার বলা হয়েছে, ১৯শে আগস্ট থেকে ৫০ ভাগ আসন ফাঁকা রেখে চালু করা যাবে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে ২১৫ জন মারা গেছেন। এসময় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১০ হাজার ১২৬ জন।

XS
SM
MD
LG