গত ১ বছরে হংকংয়ের জনসংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে। মহামারী এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষিতে মানুষ সেদেশ থেকে চলে যাচ্ছে।
আদমশুমারি ও পরিসংখ্যান বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, হংকংয়ের জনসংখ্যা ১ দশমিক ২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা সংখ্যায় প্রায় ৮৯ হাজার ২০০ জন। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, বিগত ৬০ বছরের মধ্যে এটিই হংকংয়ের জনসংখ্যার সবচেয়ে বড় হ্রাস।
২০১৯ সালে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন বেইজিং হংকংয়ে জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করে এবং রাজনৈতিক ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন অব্যাহত রাখে।
নিরাপত্তা আইনের সুদূরপ্রসারী প্রভাবের কথা উল্লেখ করে ক্যাসি ওয়াং নামের একজন শিল্পী ও মানবাধিকার কর্মী, সম্প্রতি তাইওয়ানে পাড়ি জমিয়েছেন। তিনি টেলিফোনে ভিওএকে বলেন, তিনি এমন কোথাও বাস করতে চান, যেখানে “শতভাগ মত প্রকাশের স্বাধীনতা” রয়েছে। তিনি বলেন, “তাইওয়ানে আমার জন্য সেই সুযোগ আছে”।
নিরাপত্তা আইনের অধীনে কয়েক ডজন আইনপ্রণেতা গ্রেপ্তার হবার পর ওয়াং বিশ্বাস করেন যে হংকংয়ের আইনের তথাকথিত “লাল রেখা” এতটাই দ্ব্যর্থবোধক হয়ে উঠেছে যে, এর মধ্যে বসবাস করা অসম্ভব। কেউ কেউ বলছেন, "এটি আর লাল রেখা নয়, এটি লাল সমুদ্র। এটি এমন একটি অঞ্চল, যা আপনি এড়াতে পারবেন না”।
একজন সরকারি মুখপাত্রের বরাত দিয়ে, হংকং ভিত্তিক সংবাদপত্র, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, শহর ছেড়ে যাওয়া লোকেদের সবাই আসলে স্থায়ীভাবে চলে যাচ্ছে না, বরং নতুন করে কোনও মানুষ সেখানে আসছে না বলেই জনসংখ্যা এতটা হ্রাস পেয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য বলছে, সেখানকার লক্ষ লক্ষ নাগরিক ব্রিটেনের নাগরিকত্ব পাবার প্রস্তাব পাওয়ায় অনেকে হংকং ছেড়ে চলে গেছে।