ইউক্রেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট পেত্র পোরোশেনকো সোমবার (১৭ জানুয়ারি) আদালতে হাজিরা দিতে দেশে ফিরেছেন। সাবেক এই নেতা তার বিরুদ্ধে আনীত রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে ব্যাখ্যা করেছেন।
ওয়ারস থেকে ফেরা এই নেতাকে অভিবাদন জানাতে হাজার হাজার জনতা কিয়েভ বিমানবন্দরে ভিড় জমান। তাদের অনেকের হাতে “আমরা গণতন্ত্র চাই”, “নিপীড়ন বন্ধ কর” লেখা প্ল্যাকার্ড ছিল।
বিমানবন্দর থেকে পোরোশেনকো সরাসরি আদালতে যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আদালতে সিদ্ধান্ত হবে তদন্ত ও বিচারকার্যের জন্যে তাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হবে কি না।
পোরোশেনকো ইউক্রেনের ধনকুবের ব্যবসায়ীদের একজন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তিনি অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ কয়লা বিক্রির সঙ্গে জড়িত। যা ২০১৪-১৫ সালে পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ার মদদপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অর্থ যোগান দিয়েছে।
এই মামলার সূত্র ধরে তার সকল সম্পত্তি জব্দ করেছে আদালত। মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে তার ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
ইউক্রেনের সাবেক এই প্রেসিডেন্ট নিজেকে নির্দোষ দাবী করে আসছেন। তিনি আরও দাবি করেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির জেলেনস্কি তাকে রাজনৈতিকভাবে অপদস্ত করতে এবং দেশটির বিদ্যমান সমস্যা ও কোভিড পরিস্থিতি থেকে জনসাধারণের দৃষ্টি ফিরিয়ে নিতেই এই ষড়যন্ত্র করেছেন।
২০১৯ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। এই অভিযোগের কারণে অগণতান্ত্রিক চর্চা নিয়ে দেশটির ভেতরে এবং দেশটির মিত্র দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সীমান্তে রাশিয়ার সেনা সমাবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং রাশিয়া আবারও ইউক্রেন আক্রমণের পরিকল্পনা করছে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছে।
দুর্নীতি ও অজনপ্রিয় সংস্কারের সূত্র ধরে পোরোশেনকো নির্বাচনে পরাজিত হলেও দেশটির শক্তিশালী সেনাবাহিনী পুনর্গঠনে তার অবদান রয়েছে। এই সেনাবাহিনী রাশিয়ার মদদপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিপক্ষে জোর লড়াই করছে।
অন্য দিকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, তিনি দেশের অভ্যন্তরে ধনকুবের ব্যবসায়ীদের প্রতিপত্তি এবং ইউক্রেনের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে তাদের প্রভাব বিনষ্ট করতে বদ্ধপরিকর।