তুর্কি দমকলকর্মীরা মঙ্গলবারও দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলের বন ও গ্রামগুলির আগুন নেভাতে তাদের সপ্তাহব্যাপী লড়াই অব্যাহত রেখেছে।প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়্যিব এরদোয়ানের সরকার এ ধরণের বড় আকারের দাবানল মোকাবেলা করতে সময় নেয়ার জন্য এবং অপর্যাপ্ত প্রস্তুতির কারণে ক্রমবর্ধমান সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে।
প্রবল বাতাস এবং অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে, বুধবার থেকে শুরু হওয়া দাবানলে আটজন লোক মারা গেছে। হাজার হাজার বাসিন্দা ও পর্যটক বাড়ি বা রিসোর্ট ছেড়ে নৌকা, গাড়ি ও ট্রাকে করে পালাতে বাধ্য হয়েছে। তুরস্কের টার্কোয়েস উপকূলের পাইন গাছে ঘেরা পাহাড় পুড়ে কালো হয়ে গেছে। গ্রামবাসীরা অনেকে বাড়িঘর ও গবাদি পশু হারিয়েছেন।
দমকলকর্মীরা এখনও উপকূলীয় প্রদেশ এন্টালিয়া ও মুগলাতে আরও নয়টি দাবানল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এ দুটি প্রদেশ জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা।আদানা এবং ইসপার্টা প্রদেশেও আগুনের খবর পাওয়া গেছে।কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে বুধবার থেকে ৩০টিরও বেশি প্রদেশে ১৩৭টি আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে।
তুর্কি বন দপ্তরের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন তুরস্কের স্মৃতিতে সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল এটি। তবে তিনি বলতে পারেননি যে কত একর বনভূমি আগুন গ্রাস করেছে।তিনি আরও অনুমান করতে পারেননি যে আগুন নেভাতে দমকলকর্মীদের কত সময় লাগতে পারে।তিনি বলেন পূর্বে নিয়ন্ত্রণে আনা আগুন প্রবল বাতাসের কারণে পুনরায় জ্বলতে শুরু করেছে। সরকারি নিয়ম মেনে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই কর্মকর্তা কথা বলেছেন।
বাসিন্দারা ঘরবাড়ি এবং গবাদি পশু হারানোর কারণে, সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রদর্শন করে । তুরস্ক সরকার স্বীকার করেছে যে তাদের ব্যবহারযোগ্য অগ্নিনির্বাপক বিমান বহর নেই। বিরোধী দলগুলি সরকারের বিরুদ্ধে আগুন নেভানোর বিমান কিনতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ করেছে। তারা বলেছে অগ্নিনির্বাপক বিমানের বহর কেনার পরিবর্তে নির্মাণ প্রকল্পের জন্য অর্থ ব্যয় করছে সরকার যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।