এক হাজারেরও বেশি থাই-সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারি শনিবার পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত হয়। তারা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এবং অর্থনীতিতে এর প্রতিক্রিয়া মোকাবিলা করতে সরকারের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জানাচ্ছিল।
দাঙ্গা প্রতিরোধ পোশাক পরা প্রায় ১০০ জন পুলিশ রাজধানী ব্যাংককের ভিক্টরি মনুমেন্টের কাছে বড় বড় ট্রাক দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয় এবং প্রধানমন্ত্রী প্রাইয়ুথ চান-ওচার দপ্তর , গভর্ণমেন্ট হাউজের দিকে যাতে মিছিল না যেতে পারে সে জন্যে জল কামান , কাঁদানে গ্যাস এবং রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
পুলিশের একজন মুখপাত্র কৃষানা পাতানাচারোয়েন সংবাদাতাদের বলেন, “জনগণের ভিড় নিয়ন্ত্রণর জন্য কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করা হয় > আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা”। বিক্ষোভকারিরা পিংপং বোমা, পাথর ও মার্বেল ছুঁড়ে মারে।
অনেক বিক্ষোভকারিকে মটরসাইকেল এবং অ্যাম্বুলেন্সে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরাওয়ান এমারজেন্সি মেডিকাল সেন্টার বলেছে অন্তত দু’জন অসামরিক লোক এবং তিনজন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। ২৩ বছর বয়সী একজন পুরুষ বিক্ষোভকারি যিনি ভয়ে কেবল তার নামের প্রথম অংশ “আওম” বলে জানিয়েছেন বলেন , “ আমরা চাই প্রায়ুথ পদত্যাগ করুন কারণ জনগণ কোন টিকা পাচ্ছেন না”। তিনি বলেন , “ আমাদের কোন চাকরি নেই , তাই প্রতিবাদ জানানো ছাড়া আমাদের কাছে কোন বিকল্প নেই”।
থাইল্যান্ডের ৬ কোটি ৬০ লক্ষ লোকের মধ্যে মাত্র ৬% টীকা গ্রহণ সম্পন্ন করেছেন এবং ব্যাংকক সহ দেশের বেশির ভাগ এলাকা এখন লক ডাউনে রয়েছে , রাত্রিকালীন কারফিউও বলবত্ করা হয়েছে। পাঁচ জনের বেশি লোকের সমাগমও এখন নিষিদ্ধ।
তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বিভিন্ন গোষ্ঠী রাস্তায় সরকার বিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে।
শনিবার থাইল্যান্ডে একদিনেই প্রায় ২২,০০০ লোক নতুন করে কভিড-১৯ ‘এ সংক্রমিত হয়েছেন এবং একদিনে সর্বোচ্চ ২১২ জন মারা গেছেন। সেখানে মোট সাত লক্ষ ছত্রিশ হাজার পাঁচ শ’ বাইশ জন সংক্রমিত হয়েছেন , মারা গেছেন ৬.০৬৬ জন।