কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল থানি বুধবার বলেছেন, আফগানিস্তানে তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেবার বিষয়টি বর্তমানে অগ্রাধিকারভুক্ত নয়, তবে বিশ্ব সম্প্রদায় যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটিকে ক্রমবর্ধমান মানবিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সাহায্য করার জন্য এখন প্রস্তুত রয়েছে।
রাজধানী দোহায় এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আল থানি বলেন, আফগানিস্তানে তালিবান কার্যত ক্ষমতায় রয়েছে এবং দেশটিকে বিচ্ছিন্ন করা একটি বড় ভুল হবে। কারণ এর অর্থ হবে আফগান জনগণকে এমন কিছুর জন্য শাস্তি দেয়া, যা তারা করেননি।
গ্লোবাল সিকিউরিটি ফোরামে কথা বলার সময় আল থানি বলেন, আমরা কেবল তালিবানের পদক্ষেপ নেবার এবং তারপর ঐ পদক্ষেপের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য অপেক্ষা করতে পারি না। তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐ পদক্ষেপগুলোর বিষয়ে নির্দেশনা দেবার দায়িত্ব রয়েছে এবং সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি মোকাবেলায় একটি পরিষ্কার রোডম্যাপ আছে।
বিশ্বের ২০টি শীর্ষ অর্থনীতির দেশের জোট জি-২০ র সরকার প্রধান এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মঙ্গলবার ইতালি আয়োজিত এক ভিডিও বৈঠকে আফগানিস্তানে মানবিক সংকট মোকাবেলায় সাহায্য করার জন্য আরও নগদ অর্থ দেবার উপায়গুলো দেখার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন।
জাতিসংঘ সতর্ক করে দিয়েছে যে, জরুরি পদক্ষেপ না নিলে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির অর্থনীতি মানবিক বিপর্যয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
তালিবানের রাজনৈতিক কার্যালয় দোহায় অবস্থিত এবং কাতার সরকার যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা সরকারগুলোর সঙ্গে ইসলামপন্থী গোষ্ঠীটির আলোচনার ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে আসছে।