অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

কাতার বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে ১০ বছরে বাংলাদেশী ১০১৮ শ্রমিকের মৃত্যু : দক্ষিণ এশিয়ার ৫ দেশের ৬৭৫১ জন


২০২২ সালে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রস্তুতির কর্মকান্ডের কাজে সম্পৃক্ত ১০১৮ জন বাংলাদেশী অভিবাসী শ্রমিক ১০ বছরে কাতারে প্রাণ হারিয়েছেন। দক্ষিণ এশিয়ার ৫টি দেশ- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলংকার মোট ৬৭৫১ জন অভিবাসী শ্রমিক ২০১১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কাতারে প্রাণ হারিয়েছেন বলে ব্রিটিশ প্রভাবশালী দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান মঙ্গলবার এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে তথ্য প্রকাশ করেছে। গার্ডিয়ান বলছে, প্রাণহানীর মধ্যে ভারতের ২৭১১ জন, নেপাল ১৬৪১, পাকিস্তান ৮২৪ এবং শ্রীলংকার ৫৫৭ জনও রয়েছেন। পত্রিকাটির হিসেবে, প্রতি সপ্তাহে গড়ে ১২ জন শ্রমিকের মৃত্যু হচ্ছে এই ৫ দেশের। পত্রিকাটি জানায়, মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। এছাড়া প্রাণহানীর তালিকায় অন্যান্য দেশের শ্রমিকরাও রয়েছে।

কাতার কর্তৃপক্ষ এসব প্রাণহানীর ঘটনাকে ’স্বাভাবিক মৃত্যু’ বললেও মানবাধিকার সংস্থাগুলো তা কোনক্রমেই মানতে নারাজ। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, মৃত্যুর ঘটনাগুলোর প্রকৃত কারণ নির্ণয়ে কর্তৃপক্ষীয় সচ্ছতা ও জবাবদিহীতার প্রকট অভাব রয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, শ্রমিক মৃত্যুর মত এতোবড় জরুরি এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে কাতার অবজ্ঞা করছে। কাতারভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, মৃত্যুর যে রেকর্ড কাতারে রাখা হয় তাতে পেশা এবং ঘটনাস্থলের কোন উল্লেখ থাকে না।


২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলকে কেন্দ্র করে ২০১১ থেকে কাতারে নতুন নতুন স্টেডিয়াম, নতুন বিমানবন্দর, হোটেল, আধুনিক গণপরিবহনসহ নানা স্থাপনা নির্মাণ ও উন্নয়নযজ্ঞ চলছে। আর এসব প্রকল্পগুলোতে কমপক্ষে ২০ লাখ অভিবাসী শ্রমিক কাজ করছেন।
এদিকে, কাতারে বাংলাদেশী শ্রমিকদের মৃত্যুর ব্যাপারে ঢাকা এখনো কোন মন্তব্য করেনি।

XS
SM
MD
LG