এ এক আশ্চর্য সমাপতন! রামমোহনের জন্ম বহু আগে, ১৭৭৪ সালের ১৪ই অগস্ট হুগলির রাধানগর গ্রামে। আর বিদ্যাসাগর জন্মান ১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর মেদিনীপুরের বীরসিংহ গ্রামে। ১৮৩৩ সালে রামমোহনের মৃত্যুকালে বিদ্যাসাগরের বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর। তবু দুজনের মধ্যে মিল ছিল পরাধীন ভারতেও চারিত্রিক দৃঢ়তা আর সর্বশক্তি দিয়ে সমাজ সংস্কারের কাজে নিজেদের নিয়োজিত করায়।
বাংলার নবজাগরণের সূচনা হয় রামমোহনকে দিয়ে। হিন্দু ধর্মের গোঁড়ামি আর কুপ্রথাগুলোকে বাদ দিয়ে ১৮২৮ সালে তিনি ব্রাহ্ম সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন। এর পরের কাজ ছিল সতীদাহ প্রথা রদ। তাঁর কথায় তৎকালীন বড়লাট উইলিয়াম বেন্টিংক সতীদাহ নিষিদ্ধ করে আইন জারি করেন ১৮২৯ সালে। ওদিকে তার প্রায় অর্ধ শতাব্দী পরে ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক সংস্কৃতজ্ঞ পন্ডিত হিন্দু বিধবা পুনর্বিবাহ আইন প্রবর্তনের কান্ডারী হন। আজ এই দুই স্মরনীয় বাঙালির কাছে বাংলার ঋণ স্বীকারের দিন।