স্বঘোষিত ধর্ম গুরু আসারাম বাপুকে ধর্ষন মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে আজইযাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিল যোধপুরের বিশেষ আদালত।এক কথায় বাকী জীবনটা জেলের চারদেওয়ালের মধ্যেইতাকে কাটাতে হবে ।
সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানাচ্ছেন কলকাতা থেকে পরমাশিষ ঘোষ রায়।
নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় আজ বুধবার আসারাম বাপুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিল যোধপুরের বিশেষ আদালত। এদিন সকালেই তাকে ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আসারাম বাপুর সঙ্গে তার দুই সহযোগী শরদ ও শিল্পীকেওকুড়ি বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত আরও দুজনকে মুক্তি দিয়েছে আদালত। উল্লেখ করা যেতে পারে দুহাজার তেরো সালে যোধপুরে নিজের আশ্রমে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল আসারাম বাপুর বিরুদ্ধে। আজ সেই মামলার রায় ঘোষণা উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারও করা হয়। আসারাম বাপুর বিপুল সমর্থকের কথা মাথায় রেখে রাজস্থান, গুজরাট ও হরিয়ানায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়।আসারাম সমর্থকরা গোলামাল পাকাতে পারে এমন আশঙ্কা করেই যোধপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারেই সাজা ঘোষণা করা হয়। এই কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের আবাসিকদের সঙ্গে দেখা করতে আসা পরিজনদের প্রবেশ এদিন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। জারি করা হয় একশো চুয়াল্লিশধারা।দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর নির্যাতিতার বাবা সংবাদ মাধ্যমে বলেন, আসারামকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। আমরা এতদিনে ন্যায় বিচার পেলাম। প্রসঙ্গত বলা যেতে পারেআসারাম বাপুর বিরুদ্ধে সুরাটেও একটি ধর্ষণের মামলা রয়েছে। সুরাটের দুই বোন আসারামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও জোর করে আটকে রাখার অভিযোগ করেছেন। এবার সেই মামলাও সামনে আসতে পারে বলেও খবর।