জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যে উত্তর কোরিয়ার উপর আরো কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তাকে আজ স্বাগত জানিয়েছে পূর্ব এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলো। তবে ঐ অঞ্চলে কেউই মনে করেন না যে এই সব নতুন পদক্ষেপ কিম জন উনের সরকারকে বিরত রাখতে পারবে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে নিরাপত্তা পরিষদের এই নতুন প্রস্তাবের পক্ষে এক বিবৃতিতে বলেছেন যে এতে আগেকার চাইতে ভিন্ন মাত্রার এই প্রস্তাব কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সদিচ্ছারই প্রতিফলন।
দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার , উত্তর কোরিয়াকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এই সতর্কবার্তা অনুযায়ী তার পরমাণু কর্মসূচি থামাতে আহ্বান জানিয়েছে , নইলে বলেছে এর পরিণতি তাদের ভোগ করতে হবে।
সেখানকার পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র চো জুন হিউক বলেছেন যে উত্তর কোরিয়া কেবল যে অর্থনৈতিক অসুবিধে এবং কুটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার সম্মুখীন হবে তাই-ই নয় বরঞ্চ দেখবে যে জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে তার অধিকার এবং সুবিধাদি স্থগিত থাকবে। দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার আরও ঘোষণা করেছে যে তারা একপাক্ষিক ভাবে আরও নিষেধাজ্ঞা জারি করবে। ২০০৬ সাল থেকেই নিরাপত্তা পরিষদ ক্রমবর্ধমান হারে উত্তর কোরিয়ার উপর নানান নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এসছে । কুটনীতিকরা বলছেন এর ফলে , পরমাণু অস্ত্র আহরণের দিকে দেশটির গতি শ্লথ হয়েছে তবে এ পর্যন্ত পিয়ংইয়ং সরকারকে তার আনবিক উচ্চাকাঙ্খা ত্যাগ করাতে ব্যর্থ হয়েছে।