অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিশ্বব্যাপী দেশত্যাগী মানুষের সংখ্যা বেড়ে চলেছে


জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা সতর্ক করেছে যে বিশ্বব্যাপী সংঘাত এবং নিপীড়নের কারণে বেশীর দেশ শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া বন্ধ করে দিলেও দেশত্যাগী মানুষের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। জেনেভায় অনুষ্ঠিত 'UNHCR' এর বার্ষিক সম্মেলন থেকে আমাদের সংবাদদাতা লীসা স্লাইনের রিপোর্টের বিস্তারিত।

জেনেভায় অনুষ্ঠিত রিফিউজি কনফারেন্সে স্বল্প দৈর্ঘ্যের একটি চলচ্চিত্র দেখানো হয়, সেখানে একদল শরণার্থী শিশুকে একসঙ্গে খেলতে, একসঙ্গে পড়াশুনা করতে দেখা গেলেও বেশ কিছু পরিসংখ্যানে দেখা যায় এই শিশুরা যেএকদিন তাদের নিজদেশে ফিরে যাবে, সে রকম ভবিষ্যৎ এবং সম্ভাবনার কথা তারা একেবারেই মনে করে না।
জাতি সংঘ কমিশনার ফিলিপপো গ্র্যান্ডি বলেন, ২০১৬ সালে এই পদে দায়িত্বভার গ্রহণের পর তিনি দেখেছেন পৃথিবীময় বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা রেকর্ড মাত্রায় বেড়েছে। তিনি বলেন, ২০১৬ সাল থেকে এপর্যন্ত ৬কোটি ৮৫লক্ষ মানুষ বাড়ীঘড় ছাড়তে বাধ্য হয়েছে যার মধ্যে ২কোটী ৮০লক্ষ হচ্ছেন শরনার্থী।

তিনি আরও বলেন মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, সেন্ট্রাল আমেরিকা এশিয়া এমনকি ইউরোপের ইউক্রেইনসহ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি অঞ্চল থেকেই মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছেন। নতুন যে সমস্যা দেখা দিয়েছে তা অত্যন্ত আতঙ্কজনক মায়ানমার থেকে ৭লক্ষ্যের বেশী রোহিংগার দেশত্যাগ।

রিফিউজি কনফারেন্স নামের শীর্ষ সম্মেলনে অংশ গ্রহণকারী প্রতিনিধিদের তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলো শরণার্থীদের জন্য তাদের দেশে প্রবেশের পথ খোলা রাখলেও কিছু কিছু দেশ শরণার্থীদের ঢুকতে দিচ্ছে না সব পথই বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, বেশির ভাগ চাপ পড়ছে উন্নয়নকামী দেশগুলোর দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উপরে। বিশ্বব্যাপী মোট শরণার্থীর৮৪ শতাংশই বাস করছে উন্নয়নকামী দেশগুলোতে।

জাতিসংঘের কমিশনার ফিলি্পপো গ্র্যান্ডি গ্র্যান্ডি বললেন, অনেক সময়ই দেখা যায়, শরণার্থীরা দূরদূরান্ত থেকে নিজ আবাস ভূমি ছেড়ে এসে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের চেষ্টা করলেও সফল হতে পারছেন না। এমনও দেখা গিয়েছে যে সীমান্ত পথ বন্ধ করে দিয়েছে অথবা শরণার্থীদের ঐ এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে । বাবা-মার কাছ থেকে ছেলে-মেয়েরা আলাদা হয়ে পড়ছে, আর এর ফলে সারাজীবন মানসিক আঘাত বা আতংকের মধ্যে বড় হচ্ছে। শরণার্থীদের মানুষের মত নয় বরং তাদের বস্তুর মত ভাবা হয়। সুবিধা মত এক স্থান থেকে আরেক স্থান অথবা অন্য দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

please wait
Embed

No media source currently available

0:00 0:04:27 0:00

গ্র্যান্ডি বলেন, দরিদ্র দেশ গুলোকে শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে বলাও আরও সমস্যা জনক হয়ে পড়ছে কারণ একই সময় ধনী রাষ্ট্রগুলো শরণার্থী বা বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয় দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।এই সমস্যা সমাধানের পথ দিনদিন কঠিন আকার ধারণ করছে। উন্নয়ন দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মিঃ গ্র্যান্ডি।
তাহিরা কিবরিয়া


XS
SM
MD
LG