অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

কী হবে বেগম খালেদা জিয়ার: মুক্তির ফাইল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে  


বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল আগামী ১০ই সেপ্টেম্বর জার্মানি থেকে দেশে ফিরলেই জানা যাবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা। বিএনপি নেত্রীর স্থায়ী মুক্তি চেয়ে করা পরিবারের আবেদন এখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত পাওয়ার পরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফাইলটি প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের জন্য পাঠিয়েছে।প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের পর ফাইল আবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে আসবে। স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত দেখেই ফাইলে স্বাক্ষর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এই বিষয়ে বলেছেন, আবেদনটিতে মতামত দিয়েছি। কী মতামত দিয়েছেন জানতে চাইলে বলেন, বলা যাবে না।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে ফাইল ফেরত আসলে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় । সরকারি সিদ্ধান্ত ও পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্নের অপেক্ষায় রয়েছে বেগম জিয়ার পরিবার। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদন্ড দেন আদালত। কারাগারে অবস্থানকালে দেশে করোনা মহামারির বিস্তার ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ার কারণে ফৌজদারি আইনের ক্ষমতাবলে সরকার সাজা স্থগিত করাতে বেগম জিয়া কারামুক্ত হয়েছিলেন তখন। আগামী ১৫ই সেপ্টেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার পরিবার পক্ষে ভাই শামীম ইস্কান্দার নতুন করে মুক্তির আবেদন জমা দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। এখন সবকিছু নির্ভর করছে সরকারি সিদ্ধান্তের ওপর। কিন্তু গত এক মাস ধরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর ও বিভিন্ন ইস্যুতে আওয়ামী লীগ নেতাদের কঠোর বক্তব্যের কারণে বিএনপির ভিতরে খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট নয়। বিএনপি নেতারা উৎকণ্ঠা ব্যক্ত করে বক্তব্যও রাখছেন। তবে তারা আশাবাদ ছাড়েননি।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন জানিয়েছেন, আবেদনটি বিবেচনা করা বা না করা পুরোপুরি সরকারের ওপর নির্ভর করছে। সরকার আইনত তাকে বিনা শর্তে মুক্তি দিতে পারে। আবার চাইলে সাজা লাঘব করে দিতে পারে। তিনি বলেন, আবেদনটিতে অবশ্যই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির সুযোগ রয়েছে। তিনি সুস্থ অবস্থায় জেলে গিয়েছিলেন। জেলে তাকে কয়েকবার চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি আর সুস্থ হননি। এখনো তিনি গুরুতর অসুস্থ। তার উন্নত চিকিৎসা দরকার। স্বাস্থ্যের বিষয় সরকার বিবেচনায় নেবে বলে আশা করছি।

XS
SM
MD
LG