বিশ্বব্যাপী মানব পাচার সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দফতরের বার্ষিক রিপোর্টে যে ১৮৮টি দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে, তার মধ্যে মালয়েশিয়ার পরিস্থিতির উল্লেখ করে, তার অবস্থান ২য় স্তরে উন্নীত করা হয়। সে দেশের মানবাধিকার সংগঠন ও যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের কিছু অংশ এ বিষয়ে আপত্তি প্রকাশ সত্ত্বেও উন্নতির কথা বলা হয়েছে।
ব্যাংকক থেকে সংবাদদাতা স্টিভ হারম্যান জানাচ্ছেন, নিউজার্সি রাজ্যের ডেমোক্র্যাট সেনেটার রবার্ট মেনেন্ডেজের ভাষায় ওবামা প্রশাসন মৌলিক মানবাধিকার নীতির ওপর রাজনীতিকে প্রাধান্য দিয়েছেন। তিনি এ বিষয়ে চ্যালেঞ্জ জানাবার শপথ ব্যক্ত করেছেন। হাওয়াই-এ যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত ১২-জাতি আন্তঃপ্রশান্ত মহাসাগরীয় বাণিজ্য অংশীদারিত্বের যে চূড়ান্ত আলোচনা চলছে, মালয়েশিয়াকে তার অন্তর্ভূক্ত করার জন্যই তার অবস্থানে এই পরিবর্তন করা হয়েছেন বলে অনেকে ধারণা করছেন।
মালয়েশিয়ার বিরোধী দলীয় বিধায়ক অং কিয়ান মিং বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দফতর যে কথাই বলুক না কেন, তার দেশে মানব পাচার পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি। মালয়েশিয়ার অবস্থান উন্নত করা হবে, অথচ থাইল্যাণ্ডের নয় কেন? আমি এর কোন যুক্তি বুঝতে পারি না। তিনি বলেন, সেনেটার মেনেন্ডেজ এবং তার সহকর্মীদের যুক্তিতর্ক শোনা উচিত এবং আমি আশা করি সেনেটে কোন একটা শুনানী অনুষ্ঠিত হবে। জুন মাসে কংগ্রেস এক আইন অনুমোদন করেছে যাতে প্রেসিডেন্ট ওবামাকে অন্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা সম্প্রসারিত করার ক্ষমতা দেওয়া হয়, তবে তৃতীয় স্তরের কোন দেশকে অন্তর্ভূক্ত করা যাবে না।