গণপরিবহন শ্রমিকরা আর ঘরে বসে থাকতে রাজি নন। তারা লকডাউন শিথিলের মধ্যে সড়কে গাড়ি বের করতে চান। তাদের কথা, লকডাউন শিথিল করা হয়েছে অথচ পরিবহন শ্রমিকদের ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। ৫০ লাখ পরিবহন শ্রমিক বেকার। তারা যাবে কোথায়? এই অবস্থায় পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন রোববার সারা দেশে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। মঙ্গলবার সব জেলা প্রশাসন অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচির কথাও বলা হয়েছে। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, আমরা লকডাউনের বিরোধীতা করছি না। বলা হয়েছিল, লকডাউনের সময় মানুষের চলাচল, শ্রমঘন শিল্প, হাট-বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দোকানপাট বন্ধ থাকবে। কিন্তু সেটা মানা হয়নি।পরিবহন মালিকরা বলছেন, স্বাস্থ্যঝুঁকি সবারই আছে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তারা গাড়ি চালাবেন। আগামী ৫ই মে পর্যন্ত চলমান লকডাউন চলবে বলে জানানো হয়েছে।
ওদিকে করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্ত কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৫৭ জন। আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ১৭৭ জন। এর আগে সপ্তাহজুড়ে মৃত্যু আর আক্রান্ত লাফিয়ে বেড়েছিল। আক্রান্ত কমে যাওয়ায় হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ আগের তুলনায় কমেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে কোভিড বেড রয়েছে ১২ হাজার ২৬০ টি। এর মধ্যে আট হাজার ৩৬৫ টি খালি রয়েছে। এই মুহূর্তে রোগী ভর্তি আছেন চার হাজার ৩০ জন। রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের উপদেষ্টা ডা. মোশতাক হোসেন মনে করেন, জন-চলাচলের ওপর বিধি-নিষেধ থাকায় সংক্রমণের হার কমেছে। তবে এটা ধরে রাখতে হবে।