ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্রাটেজি ফর দ্য রিজান শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় স্পষ্ট করে বলেছেন, যেসব দেশ স্বচ্ছতা মেনে চলে, আইনের শাসন সমুন্নত রাখে ও ব্যক্তিগত অধিকারের সুরক্ষা দেয় মার্কিন ব্যবসায়ীরা সেখানে বিনিয়োগ করতে চায়। তারা বাংলাদেশের উন্নতি পর্যবেক্ষণ করছে।
ডেইলি স্টার ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্ট্যাটিজ আয়োজিত এই গোলটেবিল আলোচনায় রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলোÑ সুষ্ঠু, ন্যায্য ও ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণকারী শাসনকে উৎসাহিত করা। আর এই অঞ্চলের অগ্রগতির ফলে বাংলাদেশে শুধু অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান ও নিরাপত্তা সহযোগিতার সুযোগ সর্বোচ্চ ব্যবহারের ক্ষমতাই বৃদ্ধি পাবে না একই সঙ্গে দেশের দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতাকে সুরক্ষা দেবে। রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, প্রায়ই তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ইন্দো-প্যাসিফিকের ওপর গুরুত্বারোপ কি চীনকে দমনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি প্রচেষ্টা। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র কখনো কোন দেশকে বলেনি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকে বেছে নিতে।
তিনি বলেন, অভিন্ন ইন্দো-প্যাসিফিক প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য স্বচ্ছতা অপরিহার্য। গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র নতুন একটি ইন্দো-প্যাসিফিক ট্রান্সপারেন্সি ইনিশিয়েটিভ ঘোষণা করে। প্রকল্পটিতে এই অঞ্চলের নাগরিকদের ক্ষমতায়ন, দুর্নীতি বিরোধী যুদ্ধ ও দেশগুলোর স্বায়ত্তশাসন জোরদার করতে সুষ্ঠু, ন্যায্য ও সংবেদনশীল শাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এতে ঢাকাস্থ বৃটিশ হাই কমিশনার অ্যালিসন ব্লেকসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, নিরাপত্তা বিশ্লেষক, সাংবাদিক ও গবেষকরা অংশ নেন।
ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর প্রতিবেদন।