অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

রোহিঙ্গা সমস্যা থেকে উগ্রবাদ-সীমান্ত নিরাপত্তার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে: জাতিসংঘের পলিসি কাউন্সিলের বিশ্লষকের মন্তব্য


রোহিঙ্গাদের সংকট বিশ্বের এক মানবিক সমস্যা, যার শোচণীয় পরিণাম হতে পারে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের খুবই সীমিত সুযোগ সুবিধা রয়েছে। কর্মসংস্থান শিক্ষা ও সাধারণ জীবনযাপনের নিম্নতম সুবিধা তাদের নেই। নেই কোথাও যাতায়াতের অধিকার এমনকি তারা দেশের নাগরিকত্ব থেকেও বঞ্চিত। এ সকল সমস্যার সুরাহা কিভাবে হতে পারে? এ সকল বিষয় নিয়ে রোকেয়া হায়দার কথা বলেন জাতিসংঘের পলিসি কাউন্সিলের বিশ্লষক টি কুমারের সঙ্গে।

please wait

No media source currently available

0:00 0:04:04 0:00

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের মানবাধিকার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে কুমার বলেন, ‘সেখানে মানবাধিকার পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর তবে বাংলাদেশ যেভাবে সব ব্যবস্থা নিয়েছে তাদের পক্ষে যতখানি সম্ভব তারা করছে। এখন আন্তর্জাতিক সমাজকে আরো সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে। যেমন সিরিয়ানরা তাদের দেশ থেকে যখন পালিয়ে চলে যাচ্ছিল সেই সময় সিরিয়ার ক্ষেত্রে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয় সংকটপূর্ণ পরিস্থিতিতে সেই ধরণের ব্যবস্থা নিতে হবে।’

বর্তমান রোহিঙ্গা সমস্যা থেকে নিরাপত্তার প্রতি হুমকী সৃষ্টি হচ্ছে। সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি একটা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন যা কিনা আঞ্চলিক এবং বিভিন্ন দেশের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। অভ্যন্তরীন নিরাপত্তা, উগ্রবাদ, সীমান্ত নিরাপত্তা নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে কি করা উচিত? জাতিসংঘ পলিসি কাউন্সিলের বিশ্লেষক বলেন – ‘সবচাইতে বড় সমস্যা যে দিকে সবার মনোযোগ দেওয়া উচিত, হ্যাঁ সেখানে সশস্ত্র সংগ্রাম, এসবই আছে, কিন্তু বাংলাদেশের অভন্তরে রোহিঙ্গাদের মানবিক সাহায্য সহায়তা দেবার বিষয়টি উপেক্ষা করা উচিত নয়। অদূর ভবিষ্যতে সেটাই হচ্ছে মানবাধিকারের ক্ষেত্রে সবচাইতে বিরাট চ্যালেঞ্জ।’

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গ্রুপ, আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম, পশ্চিমী সরকার সবাই রোহিঙ্গাদের নিপীড়নের বিষয়ে সোচ্চার তবে এ কথা স্পষ্ট যে মিয়ানমার সরকারকেই এই সমস্যার সমাধান করতে হবে, রোহিঙ্গাদের অধিকার ও নাগরিকত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

XS
SM
MD
LG