অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোয়ারিন্টিনে ১১৪ রোহিঙ্গা


কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১১৪ জন রোহিঙ্গাকে কোয়ারিন্টিন বা সঙ্গনিরোধ করে রাখা হয়েছে। করোনা মহামারীর শুরু থেকে এপর্যন্ত ৬৮৬ জন রোহিঙ্গাকে কোয়ারিন্টিনে রাখা হয়েছিল। এরমধ্যে ৫৭২ জনের কোয়ারিন্টিনের সময়সীমা শেষ হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ শামশুদ্দোজা নয়ন এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, এপর্যন্ত ২৬ জন রোহিঙ্গা কোভিড-১৯ পজিটিভ সনাক্ত হয়েছেন। তাদের আইসোলেশনে বা বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে এপর্যন্ত ৩২৬ জন রোহিঙ্গার স্যাম্পল পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে বাকি ৩০০ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে নেগেটিভ।

কক্সবাজার শরণার্থী শিবিরের গত ১৪ মে প্রথম একজন রোহিঙ্গা কোভিট-১৯ পজিটিভ সনাক্ত হন। এরপর থেকে আতংক ছড়িয়ে পড়ে ক্যাম্প জুড়ে।

এরআগে গত ৮ এপ্রিল থেকে লক ডাউন করে দেয়া হয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ পুরো কক্সবাজারকে। সীমিত করা হয়েছে রোহিঙ্গা শিবিরে কর্মরত দেশি–বিদেশি সংস্থার কার্যক্রম। এখন যেসব রোহিঙ্গা শিবিরে করোনা সংক্রমণ ঘটেছে সেখানে লকডাউন আরও কড়াকড়ি করা হয়েছে।

কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের রোহিঙ্গা মোহাম্মদ শফি বলেন, করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর থেকেই তাদের মধ্যে ভয় কাজ করছে। তবে ক্যাম্পের অনেকেই এখনও স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলাফেরা করছেন। ঈদের পর থেকে মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অনেক রোহিঙ্গা। এতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাবে বলে আশংকা করেছেন তিনি।

শরণার্থী শিবিরের ছোট একটি ঝুঁপড়িতে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন রোহিঙ্গা চিকিৎসক মোহাম্মদ হাশিম। করোনার উপসর্গ নিয়ে তাঁর কাছে প্রতিদিন যাচ্ছেন অন্তত ১৫/২০ জন রোহিঙ্গা। চিকিৎসা দেয়ার পর কেউ কেউ সেরেও উঠছেন। তিনি আশংকা করেছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অনেকেই নিজের অজান্তে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আছেন।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডাঃ অনুপম বড়ুয়া জানান, এ পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় ৪৫৩ জন করোনা সংক্রমিত আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ৯৫জন ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মারা গেছেন ৯ জন।

এদিকে কক্সবাজারে স্থানীয় জনগণ ও আশ্রয় নেয়া শরণার্থীদের জন্য দুইটি আইসোলেশন এন্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টার চালু করা হয়েছে গত ২১ মে।

এর একটি কুতুপালং ৫ নম্বর ক্যাম্পে ও অপরটি উখিয়ায় অবস্থিত। প্রায় ২০০ শয্যা বিশিষ্ট এই কেন্দ্র দুইটিতে কোভিড-১৯ এর গুরুতর রোগীদের সেবা দেয়া হবে।

ইউএনএইচসিআর এর মুখপাত্র লুইস ডনোভান জানিয়েছেন, কক্সবাজারে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য এই দু’টি একেবারেই বিশেষায়িত হাসপাতাল। কক্সবাজারের প্রায় ২ হাজার বেডের আইসোলেশন সুবিধা গড়ে তোলা হয়েছে। আরও স্বাস্থ্য সেবা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

মোয়াজ্জেম হোসাইন সাকিলের রিপোর্ট।

please wait

No media source currently available

0:00 0:03:44 0:00
সরাসরি লিংক


XS
SM
MD
LG