অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

রোহিঙ্গা এবং স্থানীয়দের জন্য বিশ্ব ব্যাংকের ৩৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান


বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং ক্ষতিগ্রস্থ স্থানীয়দের জন্য ৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৩ কোটি ৫০ লক্ষ মার্কিন ডলার সহায়তা দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক।সংস্থাটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে বিশ্ব ব্যাংক থেকে যে ১৬ কোটি ৫০ লক্ষ মার্কিন ডলার অনুদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, এই অনুদান তারই একটা অংশ।

বিশ্ব ব্যাংকের দেয়া এসব অর্থ মূলত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও ক্ষতিগ্রস্থ স্থানীয়দের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা কমানো, সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি, মৌলিক সেবা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রকল্প পরিচালিত হবে।

বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেমবন বলেন, ‘১১ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিমকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ মানবিক নেতৃত্বের এক বিরল নজির সৃষ্টি করেছে। কিন্তু, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রায় তিনগুণ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে গিয়ে কক্সবাজার জেলার সামগ্রিক পরিবেশ ও অবকাঠামো হুমকির মুখে পড়েছে। এই তহবিলের মাধ্যমে উভয়পক্ষের ক্ষতি কমিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে।’

এছাড়া এই তহবিল প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি প্রশমন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার বিভিন্ন খাতে ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বা The United Nations World Food Programme (WFP) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এই অনুদানের প্রকল্পসমূহ তারা বাস্তবায়ন করবে।তবে এই টাকার কোন অংশ চলমান করোনা মহামারীতে খরচ করা হবে কিনা তা নিশ্চিত করা হয়নি। জানানো হয়েছে, কোভিড-১৯ এর কারণে বিভিন্ন বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার পর প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।

এরকম অনুদানের কারণে এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন (রিজার্ভ) রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংকটে যখন থমকে আছে পুরো বিশ্বের অর্থনীতি, ঠিক এই সময়ে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন (রিজার্ভ) ৩৪ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমদানি ব্যয়ের চাপ কম, দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও জাইকার বৈদেশিক ঋণ সহায়তা ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর অনুদানের কারণে রিজার্ভ বেড়েছে।

মোয়াজ্জেম হোসাইন সাকিল, ভয়েস অফ আমেরিকা, কক্সবাজার।


XS
SM
MD
LG