কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোতে প্রতিবন্ধীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। সংস্থাটি বলেছে, পার্বত্য অঞ্চলে ঘিঞ্জি ও বৃষ্টিভেজা শরণার্থী শিবিরগুলো সবার জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে সেখানকার প্রতিবন্ধী শরণার্থীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। সোমবার নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ বলছে, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা অস্থায়ীভাবে এখানে বসবাস করছে। দ্রতই তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে। এজন্য শরণার্থী শিবিরে বিশৃঙ্খলভাবে ও তড়িঘড়ি করে ঘর নির্মাণ কার্যক্রমে বাংলাদেশের সরকার বাধা দিচ্ছে বলে দাবি করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। সংস্থাটি বলেছে, দীর্ঘ মেয়াদে বসবাসের যোগ্য এমন অবকাঠামো নির্মাণে কর্তৃপক্ষ বাধা দিচ্ছে। যার ফলে প্রতিবন্ধীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হাতলবিশিষ্ট চলার পথ, টয়লেট ও আলোকব্যবস্থার উন্নয়ন কার্যক্রম ধীরগতিতে এগোচ্ছে। সাধারণ শরণার্থীদের ব্যাপক দুর্দশা ও দুর্ভোগের মধ্যে প্রতিবন্ধী শরণার্থীদের বিষয়টি উপেক্ষিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই প্রতিবন্ধীদের প্রয়োজনীয়তাকে অগ্রাধিকার দেয়ার এখনই উপযুক্ত সময় বলে মনে করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
ভিডিওবার্তায় সংস্থাটির শরণার্থী অধিকার বিষয়ক পরিচালক বিল ফ্রেলিক বলেন, ‘শরণার্থী ক্যাম্পে হেঁটে যাওয়ার সময় আমরা বিপুল সংখ্যক প্রতিবন্ধী রোহিঙ্গা পেয়েছি। এদের অনেকেই মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নৃশংস আক্রমণে শারীরিক সক্ষমতা হারিয়েছে।
জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংগঠনগুলোর বিভিন্ন প্রচেষ্টা ও শরণার্থীরা নিজস্বভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়ার পরেও শিবিরের অনেক পথ প্রতিবন্ধীদের চলাচলের অযোগ্য।’ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের ভিডিও বার্তায় রোহিঙ্গা শরণার্থী হোসেইন আহমেদের প্রতিবন্ধী ছেলের কথা উল্লেখ করেছে। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসার সময় হোসেইনের ১৭ বছর বয়সী ছেলে সেনাবাহিনীর ছোড়া গুলিতে বিদ্ধ হন। গুলি তার কাঁধে আঘাত হানে। পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে এখন সে অচল হয়ে পড়েছে।